চাঁদপুর শহরে রাস্তার প্রশস্ততা না বাড়লেও মানুষের চেয়ে গাড়ির সংখ্যা এখন বেশি। পৌর কর্তৃপক্ষের পরিকল্পিত নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সিএনজি স্কুটারের পাশাপাশি এখন অটোরিক্সার বেপরোয়া চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা। বহু মানুষ আহত হচ্ছে। গতকাল রোববার রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা আধা ঘণ্টার মধ্যে দুটি অটোবাইক দুর্ঘটনায় একজন ব্যবসায়ীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। মেথা রোডের বাসিন্দা ছগির হাজী (৫৫)কে জোড় পুকুর পাড় ড্রেসকোর সামনে একটি চলন্ত অটোরিক্সার ধাক্কা দিলে তার মাথা ও চোখে মারাত্মক জখম হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। রাত ৮টার দিকে পালবাজার ব্রিজের গোড়ায় আরেকটি অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি সিএনজি স্কুটারকে চাপা দেয়। এ ঘটনায় নারীসহ ৪ জন আহত হয়। গাড়ির চালক কালু (১৮) ও শাহআলম (৪০) এবং ফালানী বেগম (৪৬) হাসাপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। আহত শাহআলম ঢালী পৌর প্যানেল মেয়র ছিদ্দিক ঢালীর ছোট ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুরাণবাজার লোহারপুল থেকে যাত্রী নিয়ে নতুনবাজার আসার সময় ব্রিজের উপর থেকে অটোরিক্সাটি ব্রেক ফেল করে। গতি থামাতে না পেরে গাড়িটি ব্রিজের নিচে দাঁড়ানো সিএনজির উপর উঠিয়ে দেয়। সিএনজির উপর না পড়লে সেখানে অনেক মানুষ চাপা পড়ে প্রাণহানি ঘটতো বলে যাত্রীরা জানায়। শরহবাসীর প্রশ্ন সামনে ঈদ। মানুষের কর্মব্যস্ততা এবং যাতায়াত আরো বাড়বে। সিএনজি ও অটোরিক্সার বেপরোয়া চলাচল নিয়ন্ত্রণ কার দায়িত্ব। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট গাড়িগুলোর মালিক ও পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে দুর্ঘটনা রোধকল্পে আলোচনায় বসা দরকার। নতুবা পথ চলতে গিয়ে শহরবাসী অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় হতাহতের সম্মুখীন হবে।