অতি বর্ষণে বাজারে অস্বস্তি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা

চাঁদপুর নিউজ রিপোর্ট ঳ ॥ টাবা বর্ষণে কাঁচাবাজার নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫টাকা। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আর ডিমের হালি ৩৫ টাকা। গতকাল বিভিন্ন বাজারে সবজি বিক্রেতারা বলেন, বৃষ্টিতে সব তলিয়ে গেছে। তাই সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাড়তি দামে কেনায় বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। হঠাৎ করে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫টাকা। তবে বাড়েনি ভোজ্যতেল, চিনি ও ডালের দাম। বরং ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজারে এমনই চিত্র দেখা গেছে। ঘূর্ণিঝড় কোমেন এবং গত কয়েকদিন থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে দক্ষিন ও দক্ষিন-পূর্বাঞ্চল। জুলাইয়ের গত বছরের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি বৃষ্টিতে প্রায় ১০ জেলা এখন বন্যার মুখোমুখি। এই অতিবৃষ্টিতে রাজধানীর কাাবাজারের নেই স্বস্তি। বৃষ্টির কারণে উত্তপ্ত ভারতের পেয়াজের বাজাও। কয়েক মাস আগের অসময়ের বৃষ্টিতে সেখানে পেয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই দামের আচ লেগেছে বাংলাদেশের বাজারেও। খুচরা বাজারে ভালেরা মানের পেয়াজের কেজি উঠেছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় যা ঈদের আগের তুলনায় ২০ টাকা বেশি। রোজার মধ্যেও বাজারে সবজি, মাছ ও পেয়াজের দাম এত বেশি ছিল না। বাজারে বড় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে পেয়াজের দামে। তবে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বাড়লেও খুচরা পর্যায়ে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। কৃষিমার্কেটের ফয়সাল বাণিজ্য বিতানের মালিক জানান দেশি বিদেশি পেয়াজ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, আদা ৯০ থেকে ১২২ টাকা দেশি রসুন ৫০, বিদেশি রসুন ৯৫ টাকা বিক্রি করা হেচ্ছ যা আগের চেয়ে একটু বেশি। কিন্তু কয়েক গহ দূরেই খুচরা ব্যবসায়ীরা ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে পেয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা রসুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা ও আদা ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছেণ। গতকাল বিভিন্ন বাজারে গেছে। বেশিরভাগ সবজির দামই কেজিপ্রতি ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি বেগুন ৫০ টাকা বিক্রি হলেও গতকাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়। একইভাবে ধুন্দুল, ঝিঙটগা চিচিঙগা ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হলেও গতকাল শুক্রবার ১০ টাকা দাম বেড়ে ৬০ টাকা ২৫ থেকে ৩০ টাকার কাচা পেপে ৩৫ টাকা ৩০ থেকে ৩৫ টাকার বরবটি ৪৫ টাকা ৩০ থেকে ৪০ টাকার পটোল ৫০ টাকা ঢেড়স ৫০ টাকা ২৫ থেকে ৩০ টাকার শসা ৪৫ টাকা, গাজর ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা, ধনিয়া পাতা ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, আলু ২৪ থেকে ২৬ টাকা আগের সপ্তাহে টমেটো ৮০ টাকা বিক্রি হলেও গতকাল ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা ও প্রতি হালি লেবু ২০ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, সারাদেশে বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে কাঁচামাল সময়মতো আসতে পারছে না বলে পাইকারি বাজারে দর বাড়তি। এর কারণে খুচরা বাজারে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই কাঁচাপণ্যের দর বাড়তি বলে জানান তারা। বাড়তি দামের ব্যাপারে দোকানিরা বলেন, বৃষ্টি ও ঈদের কারণে পণ্যের সরবরাহ কম। বাড়তি দামে কেনায় বেশি দামেই সব সবজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে পণ্যের দর কবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।