সহজেই অনেক বেশি আয়ের সুযোগ রয়েছে বলে হালআমলে অনেকেই ঝুঁকছেন অনলাইনেই ক্যারিয়ার গড়ার দিকে। এক জন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে, নিজের মতো কাজ করার স্বাধীনতা আছে বলে এই উপায়গুলোর হাতছানিও অনেক। তবে প্রচলিত উপায়গুলোর মধ্য অনেকগুলোই ঠিক বিশ্বাস যোগ্য নয়। কখনও কখনও পড়তে হয় প্রতারণার মুখে।
প্রলোভনে না পরে সঠিক ভাবে কাজ করে যেতে পারলে যে সফল হওয়া সম্ভব তার অসংখ্য নজির রয়েছে দেশ জুড়ে। এমন কয়েকজন সফল ফ্রিল্যান্সারের সাথে কথা জানা গেছে, তারা সব সাইট বা উপায়গুলোর প্রতি আস্থা রাখেন না। তারা আয় করেন কয়েকটি নির্দিষ্ট উপায়ে। নতুনআউটসোর্সিং যারা করতে চান তাদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু উপায় বেছে নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
freelancing-5-jobs
তাদের পরামর্শ হলো, ‘আপনি যে সাইট থেকে আয় করার করতে উৎসাহী হবেন প্রথমে সেই সাইট সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই করবেন এতে করে প্রতারণার শিকার হওয়া থেকে অনেকটা রক্ষা পাবেন ।’
তাদের মতে যে সাইটগুলো বা যে কাজগুলো করে নিশ্চিত আয় করা যায় তেমন চারটি উপায় সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
আউটসোর্সিং এর এটাই সবচেয়ে নিরাপদ ও জনপ্রিয় উপায়। এখানে নিজের দক্ষতার ক্ষেত্র সম্পর্কে অন্যকে অবহিত করা যায়। এখানে পিএইচপি , অনুবাদ , এইচটিএমএল , গ্রাফিক ডিজাইন ,ওয়েব ডিজাইন , এসইও , ওয়ার্ডপ্রেস ,মাইএসকিউএল ,ফটোশপ , সিএসএস , ফ্লাশ , জাভাস্ক্রিপ্ট , আর্টিকেল লেখা , ডেটা এন্ট্রি , ইন্টারনেট মার্কেটিং , লোগো ডিজাইন , জুমলা , কপিরাইটিং , এজাক্স , ফেসবুক এপ্লিকেশনের মতো কাজগুলো করা যায়।
ইন্টারনেটে অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয় যাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেসগুলোর জন্য, GetaFreelancer, Odesk , Scriptlance ,Getacoder , Rentacoder জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এগুলো থেকে যেকোনো একটিতে রেজিস্ট্রিশন করে আপনি শুরু করতে পারেন আপনার ভবিষ্যত ক্যারিয়ার ।
আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে সহজ ভাষায় অন্যকোনো প্রতিষ্টানের পণ্য বিক্রি করে নিজে কমিশন নেওয়া। অনলাইনে কেনা-বেচা করে এমন কোনো প্রতিষ্টানের পণ্য কিনতে আরেকজনকে উদ্বুদ্ধ করলে বিক্রিত ওই পণ্যের ওপর একটা কমিশন দেয় কোম্পানিটি। অ্যামজন, ইবেসহ বেশ কিছু সাইট থেকে দেশে বসেই এই উপায়ে আয় করা যায় হাজার হাজার টাকা।
তবে এজন্য নিজের একটা ওয়েব সাইট থাকা দরকার। ওই সাইটে কোনো পণ্যের বিষয়ে অল্প কিছু রিভিও রিখে আয় করা যায় সহজেই।
এছাড়া এসইও, ব্যাকআপ লিংক তৈরি করেও আয় করা যায়। এক্ষেত্রে আপনার তৈরিকৃত লিংক থেকে কেউ পণ্য কিনলে আপনি পাবেন কমশিন।
বিশ্বে সবচেয়ে বড় দুটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট হলো নাম হল আমাজন ডট কম ( www.amazon.com) ও ক্লিকব্যাংক ডট কম (www.clickbank.com)
গুগল অ্যাডসেন্স
গুগল তার সার্চ সেবার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আর এই জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে নতুন আয়ের উপায়ও পেয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। গুগল এডসেন্স এবং এডওয়ার্ডস নামক অনলাইন ভিত্তিক বিজ্ঞাপন সংস্থা তৈরি করা হয় যার মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতা এবং প্রকাশক একটি প্লাটফর্মে অবস্থান করেন। ফলে সহজেই বিজ্ঞাপনদাতা পণ্যের প্রচার করতে পারবে এবং প্রকাশক তা প্রকাশ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে।
সাধারন মানুষের কাছে এই বিজ্ঞাপন উপস্থাপন করার জন্য এডসেন্সে বিজ্ঞাপন দাতাদের অর্থ প্রকাশকদের একাউন্টে জমা দেন। আর এই উপায়ে অনলাইনে নিরাপদে আয় করা যায়। তবে এজন্য আপনার একটি জনপ্রিয় ওয়েব সাইট বা ব্লগ থাকা দরকার।
এই কাজে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে গুগল ৩২ শতাংশ কমিশন কেটে নেয়। অর্থাৎ বিজ্ঞাপনদাতা যদি আপনার সাইটে বিজ্ঞাপনের জন্য ১০ ডলার খরচ করে তবে আপনি প্রকাশক হিসেবে প্রায় ৭ ডলার পাবেন।
মাইক্রোব্লগিং সাইট ব্যাবহার করে
আপনি যদি একজন মাইক্রোব্লগার হন তবে সহজেই আপনি অনলাইন থেকে কিছুপরিমান আয় করতে পারেন । বিশ্বের অনেক মাইক্রোব্লগার রয়েছেন যারা মোটামুটি ১০০-১০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি মাইক্রোব্লগিং সাইটে আপনার জনপ্রিয়তার উপরে নির্ভর করে থাকে। বিশ্বের অনেক সাইট রয়েছে যারা এ ধরনের সুবিধা প্রদান করে থাকে কিন্তু সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সাইটটি হচ্ছে “স্পন্সরড টুইট”। স্পন্সরড টুইট এ আপনি আপনার টুইটার একাউন্টের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন ।