চাঁদপুর জেলার স্বনামধন্য আইসিটি ও কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার “আইটি কম্পিউটার সিটি”র আয়োজনে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান ১৯ মার্চ সকাল ১১টায় শহরের বৈশাখী চাইনিজ রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গীয়াস উদ্দিন মিলন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের যুবসমাজের এখনো প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক বাজারে সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানের অভাব রয়েছে। যদিও ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, হাজার হাজার বাংলাদেশের তরুণ এই সুযোগটি কাজে লাগাতে তাদের সহায়তা করার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং সরকারি সহায়তার প্রয়োজন। আমাদের আইটি সেক্টর এবং আইটি উন্নয়নের উত্থানের কারণে বাংলাদেশে আউটসোর্সিং বেড়েছে। তবে এক্ষেত্রে সফল হতে গেলে প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখতে হবে, থাকতে হবে লেগে থাকার মানসিকতা, প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ করতে হবে জ্ঞানের ভান্ডার। তবেই সফলতা ধরা দিবে। এ সময় তিনি উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের মতামত শুনেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাইফুল ইসলাম নিরব এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ ফিরোজ আলম। তিনি বলেন- বিগত কয়েক বছরে দেশের অর্থনীতিতে ফ্রিল্যান্সারদের অবদান লক্ষণীয়। বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তি অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর ফ্রিল্যান্সররা ১০ কোটি ডলার আয় করে থাকেন।অনলাইন শ্রমিক সরবরাহে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। বিশ্বে বছরে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার রয়েছে আউটসোর্সিংয়ে। বাংলাদেশে এই খাতে আয় ১ বিলিয়ন হলেও, সম্ভাবনা আছে ৫ বিলিয়ন ডলারের। কিন্তু এই ৫ বিলিয়ন ডলার আয় এর লক্ষ্য পূরণ করতে ফ্রিল্যান্সার এর সংখ্যা ৫ গুণ বৃদ্ধি করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে অবদান রাখছে আইটি কম্পিউটার সিটি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাইবার ওয়ার্ল্ড আইটির কর্নধার ইঞ্জিঃ জিহাদুল ইসলাম শরীফ। তিনি বলেন- যুবসমাজের বিশাল জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশ। এখানে ৪ কোটি ৪০ লাখ তরুণদের প্রতি ১০ জনের একজন বেকার। তবে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে নানা সুযোগ। এতে করে তারা শুধু নিজের জীবিকাই নিশ্চিত করবে না, বরং দেশে অনেক বৈদেশিক মুদ্রাও আনতে সমর্থ হবে যা ‘নতুন বাংলাদেশে’র অর্থনৈতিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
এসময় হাইমচর রয়েল কম্পিউটার এর সত্ত্বাধিকারী মেহেদী হাসান, প্রশিক্ষক সাইফুল ইসলাম নাসির, নাসিম মজুমদার ও আয়মান সাঈদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শতাধিক কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ ও সফল শিক্ষার্থীদের সম্মাননা এবং শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইটি কম্পিউটার সিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন।
এর আগে প্রথম সেশনে প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে ফ্রী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শতাধিক শিক্ষার্থী এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।