চাঁদপুর নিউজ রিপোর্ট
আজ ১০ জানুয়ারি মঙ্গলবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি অ্যাডঃ আঃ হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথকভাবে বাণী দিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী সামরিক জান্তা বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীল নক্শা বাস্তবায়নে অপারেশন শুরু করার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসা থেকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান কারাগারে নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁকেই রাষ্ট্রপতি করে গঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকার। আর এ সরকারের নেতৃত্বেই চলে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ। অবরুদ্ধ বাংলায় যখন পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ চলছে, ঠিক তখন পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রহসনের বিচার শুরু হয়। ওই বিচারে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির রায় দেয়া হয়।
৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামক নতুন রাষ্ট্র জন্মলাভ করে। সে সময় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পাকিস্তানে সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১০ জানুয়ারি বিজয়ীর বেশে লাখ লাখ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা ও উষ্ণ সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশে ফিরে আসেন।
বঙ্গবন্ধুর এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আজ ১০ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৭টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় সম্মুখে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বিকেল ৩টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের উপস্থিত থাকার জন্যে অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহাম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।