চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার বহরিয়া বাজারে বুধবার ফের বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। এসময় ৩০টি দোকান-পাট ভাঙচুর করা হয়। আওয়ামী লীগ কর্মীরা স্থানীয় বিএনপি অফিসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। কয়েকটি বসতবাড়িতেও হামলা করে সংঘর্ষকারীরা।
মঙ্গলবার সংঘর্ষের জের ধরে বুধবার সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ কর্মীরা হরতালকারীদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হয়। সকাল ৮টার দিকে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হলে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সকাল ১০টার পর উভয় পক্ষ আবারো সংঘবদ্ধ হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বহরিয়া বাজারের দোকানে লুট-পাট শুরু করে তারা।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বর্তমানে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার হরতালের দ্বিতীয় দিনের আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষের জের ধরেই ফের বুধবার সকালে বহরিয়া এলাকায় উভয় গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় তারা একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ৩০টি দোকানপাট ভাঙচুর করে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে সাদ্দাম (২৫), আফতাব মিজি (৪৮), সুমন (২৬) রফিকুল ইসলাম(১৯), ফয়েজ মিজি (১৭), মাইনুদ্দিন(২২) সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাদবাকিরা স্থানীয়ভাবে এবং চাঁদপুরের বেসরকারি হাসপাতালগুলো চিকিৎসা নিচ্ছে।
হরতালের শেষ দিন চাঁদপুর সরকারি কলেজের সামনে সকাল সাড়ে ১১টায় হরতালকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় হরতালকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। হরতালকারীরা পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৫ শিবিরকর্মীসহ মোট ১৫ জনকে আটক করে। এছাড়াও হরতালকারীরা বিভিন্ন স্থানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর বাংলামেইলকে জানান, হরতালে বড় ধরনের নাশকতা এড়াতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। বহরিয়া এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি বলেন, সেখানে বর্তমানে পুলিশের সাথে বিজিবি সদস্যরা রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
এদিকে মঙ্গলবার বহরিয়ায় বিএনপি-আওয়ামীলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মডেল থানা পুলিশ। উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাইদ বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০ বিএনপি-জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।