স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর শহরে পৃথক সন্ত্রাসী হামলায় তিন সহোদর গুরুতর আহত হয়েছে। এরা হচ্ছে : আলমগীর ঢালী, মোস্তফা ঢালী ও রুবেল ঢালী। এদের মধ্যে রুবেল ঢালীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে সে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাগুলো ঘটেছে ঈদুল আযহার দিন সোমবার রাতে, গত বুধবার রাতে এবং গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে। শহরের কোড়ালিয়া এলাকার বিবদমান দু’টি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব সংঘর্ষের জের হিসেবে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের কোড়ালিয়া এলাকার পলাশ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা একই এলাকার মোস্তফা ঢালীর উপর সোমবার রাতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কস্থ উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় মোস্তফার সাথে আরো ক’জন আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে মডেল থানার এসআই আনোয়ার ও এসআই আজাদ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে আসেন। এসআই আনোয়ার জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পলাশের লোকজন মোস্তফার উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। এ ঘটনার পর গত বুধবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে মোস্তফা ঢালীর ছোট ভাই রুবেল ঢালীকে কোড়ালিয়া রোডে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। ওই রাতেই তাকে সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। এ হামলার জন্যও পলাশ বাহিনীকে দায়ী করা হয়েছে। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ৯টার দিকে শহরের রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে মোস্তফা ঢালী ও রুবেল ঢালীর বড় ভাই আলমগীর ঢালীকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। আলমগীর ঢালী ও মোস্তফা ঢালী চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, পলাশের উপর ঈদুল ফিতরের কয়েকদিন আগে রাতে হাকিম প্লাজার দ্বিতীয় তলায় মোস্তফা ঢালীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। তখন পলাশকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। পলাশ ঢাকায় চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি চাঁদপুর আসে। ওই ঘটনার জের হিসেবে পলাশের বন্ধুরা ঈদুল আযহার রাতে, গত বুধবার রাতে এবং গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই তিন ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। শহরবাসী জানায়, এই উভয় গ্রুপই সন্ত্রাসী গ্রুপ। নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমানে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম অবস্থায় রয়েছে। তাতে যে কোনো সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে খুন-খারাবির ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে শহরবাসী আশঙ্কা করছে।