শওকত আলী ঃ
চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের শাহরাস্তির উনকিলায় দুর্বৃত্তরা চাঁদপুর চট্টগ্রামের আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেসে পেট্রল বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে করে এমইআই ১৫ ইঞ্জিন নং – ২৯৩৯ ককটেলের আঘাতে ক্ষতি গ্রস্থ হয় বলে চালক এলএম শাহাবুদ্দিন জানান। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার রাত পোনে ৯টায় এ পথের ব্রিজ নং সি/১৫ উনকিলা নামক স্থানে। পেট্রল বোমা ও ককটেলের আওয়াজে টেনে থাকা যাত্রী রা আতঙ্কিত হযে ছুটাছটি করতে গিয়ে মহিলা শিশু ও পুরুষ সহ কম পক্ষে ২০ যাত্রী আহত হয়েছে বলে জানা যায়। চালকের বুদ্ধিমক্তায় আিুিল্পের জন্য সহস্রাধিক যাত্রী প্রানে রক্ষা পায়্। ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ উছমান গণি পাঠান। এব্যাপারে চাঁদপর রেলওয়ে থানায় একাটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
ট্রেনের চালক এল এম মোঃ সাহাবুদ্দীন ও সহকারী চালক এএলএম মহিউদ্দিন জানান, চাঁদপুর-চট্ট্রগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাকসাম-চিতশী থেকে ছেড়ে চাঁদপুর আসছিল। মহিউদ্দিন জানান ,হঠাৎ বুধবার রাত পোনে ৯টায় ট্রেনটি ১৫ নং ব্রীজ সংলগ্ন উনকিলা নামক স্থানে আসলে ৫/৬ জন দুডির্বৃত্ত দলবদ্ধভাবে,ট্রেনকে লক্ষ করে পেট্রল বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এসময় বিকট আওয়াজ হলে চালকশাহবুদ্দিন ডান দিক থেকে বাম দিকে চলে যায়্ । মহিউদ্দিন ট্রেনের পেট্রল বোমা নিক্ষিপ্ত স্থানটি লক্ষ করে দেখতে পান ইঞ্জিনের টেবিলে আগুন জ্বলছে। তাৎক্ষপণিক চালক ট্রেনটি না থামিয়ে ইঞ্জিনে থাকা পানি নিক্ষেপ করলে আগুন নিভে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রনে না আসলে ইঞ্জিনে টেরিলের পাশ দিয়ে আগুন ভিতরে প্রবেশ করে বড় ধরােইনর দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। আগুন নিবিয়ে ফেলায় ফলে বড় ধরণের কোন -দুর্ঘটনা ঘটেনি। এতে করে ট্রেনে থাকা দক্ষিনাঞ্চলীয় যাত্রীসহ প্রায় সহস্রাধিক যাত্রী প্রাণে বেঁচে যায়। ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে থাকা ট্রেনের বগিরযাত্রী বরিশালের দোপাতলী এলাকার মোঃ জিয়া, মোঃ সোহাগ জানান, হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয়। এ সময় ট্রেনে থাকা যাত্রীরা আতংকিত হয়ে ট্রেনের ভিতরে ছুটা ছুটি করতে থাকে। অনেকের ধারণা হচ্ছিল ট্রেনটিতে হয়তো বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমসময় ছুটাছুটি করতে গিয়ে শিশু -মহিলা ও পুরুসসহ কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী আহত যাত্রীরা জানান। ট্রেনের খাওয়ার গাড়িতে থাকা ফেনী রশিদিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ কাউসার আহমেদ জানান ককটেলের বিকট আওয়াজে খাওয়ার গাড়িতে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েল। ট্রেনটি পরবর্তী স্টেশন মেহের থামার পর যাত্রীরা জানতে পারে দুবর্ৃৃত্তরা ট্রেনে পেট্রেল বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেছিল। ট্রেনটি রাত সাড়ে ১০টা চাঁদপুর স্টেশনে পৌছলে। এসময় স্টেশন মাষ্টার মোহাম্মদ হোসেন মজুমদার, রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উছমান গনি পাঠান, রেলওয়ে নিরাপত্তা ইনচার্জ আমিনুল হক সঙ্গীয় ফোর্স সহ ইঞ্জিন ও ট্রেন পরিদর্শন করেন। এ সময় চালক সাহাবুদ্দীনের সাথে কথা বলেন এবং ইঞ্জিনটির যে স্থানে পেট্রোল বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেছে সে স্থানটি প্রত্যক্ষ করে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হন।
চট্টগাম রেলওয়ের কন্টলের ও নির্দেশে ও রেলওয়ে চট্টগাম জেলার এসআরবি নির্দেশে (পুলিশ সুপার) রাতেই রেলওয়ে থানার ্অফিসার ইনচার্জ সংগীয় ফোর্সসহ ঘটনা স্থলে গিয়ে উপস্থিত হন । ঘটনা স্থলে আসেন রেলওয়ে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ ও সঙ্গীয় ফোর্স । তারা ঘটনার সম্পর্কে অবহিত হন । কিছুক্ষন পর শাহরাস্তি থানার ওসি মোঃ শসাহআলম এসআই নিজাম উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থরে আসেন । রাতেই পুলিশসহ কয়েকশ এলাকাসী এসে উপস্থিত হন। এলাকার চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান লিটন তার পরিষদের মেম্বার , এলাকাবাসী ওই এলাকায অবস্থিত দোকান পার্টের ব্যবসায়ীদের সাথে ঘটনার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন । রাতে পুরো উনকিলা এলাকার অভিযান চালান ৩ থানার পুলিশ সদস্যরা । তবে ওই সময় কাউকে গেফতার করা সম্ভব হয়নি। সি/১৫ এলাকায় দায়িত্বরত রেলওয়ের মিস্তরী ফজল হকের সাথে যোগাযোগ করলে সে এ ধরনের ঘটনা জানে না বলে জানায়। ওই এলাকাটি জামায়াতে আস্তানা হওয়ায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। লাকসাম রেলওয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে ও শাহরাস্তি থানা পুলিশ দুপুর ২ টায় ঘটনা স্থল থেকে চলে আসে। এব্যাপারে রেলওয়ে জি আর পি থানার ওসি জানান, ট্রেনটি চাঁদপুর আসার পর ট্রেনের চালকের সাথে কথা বলি এবং ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হই। তবে ট্রেনের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে ফোর্স নিয়ে ছুটে যাই এবং তদন্ত সাপক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রস্তুতি চলছে।