ডাঃ এস.জামান পলাশ
এই রোদ, এই বৃষ্টি আবহাওয়ার এমন বৈরী আচরণে চাঁদপুরসহ সারাদেশে সর্দি-কাশি, জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। জ্বরে আক্রান্তরা ডাক্তারদের চেম্বারে ভিড় জমাচ্ছেন। মোট কথা ঘরে ঘরে জ্বর। আবহাওয়া বদলের এই সময়ে মানিয়ে নিতে পারছে না শিশুরা, আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়ায়।
জ্বর কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ মাত্র।
কোন রোগ জন্মানোর প্রাক্কালে শরীর তার প্রতিরোধ করে। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে জ্বরের মাধ্যমে। আবহাওয়া বদলের এই সময়টাতে মৌসুমী বিভিন্ন রকমঅসুখ হয়।
জ্বর : এ সময়ে জ্বর হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তাই মৌসুমী জ্বর নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এ জ্বর সেরে যায়। এ জ্বরে আক্রান্ত হলে মাথাব্যথা হতে পারে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীর গা হালকা ঠান্ডা পানি দিয়ে দিনে কয়েকবার মুছে দিতে হবে। তিন দিন পরও জ্বর না কমলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। ছোঁয়াচে হওয়ায় এ ধরনের জ্বর থেকে সাবধান থাকতে হবে।
জ্বর হলে কী করবেন :
* স্বল্পকালীন এবং মৌসুমি জ্বর যেমন: ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গু, সোয়াইন ফ্লু, সাধারণ সর্দি-জ্বর ইত্যাদির জন্য উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, এতে শরীরের তাপমাত্রা ১০১-১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত ওঠানামা করে এবং দু-তিন দিনের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে বিশ্রাম, প্রচুর পরিমাণে খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি সেবন করলেই চলে।
* দীর্ঘমেয়াদি জ্বর যেমন_টাইফয়েড, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস জ্বরের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।
* জ্বর যদি খুব বেশি হয়, ট্যাপের ঠাণ্ডা পানি দিয়ে বারবার গা মুছে দিতে হবে। বারবার খাবার পানির স্যালাইন খেতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
কাশি : আবহাওয়া বদলের আরেকটি অসুখ হলো কাশি। অল্প কাশি হলে দুই একদিন হালকা গরম পানিতে বাচ্চাকে গড়গড়া করাতে পারেন। চিকিৎসা করা প্রয়োজন। তবে এক বছরের কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে অল্প জ্বর, কাশি হলেই সঙ্গে সঙ্গে তাকে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। বড়দের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরন করতে হবে।
চিকেন পক্স : পক্সের বহি:প্রকাশ প্রথমে বুকে-পেটে দেখা দেয়। তারপর ক্রমশ তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে সেই সাথে হতে পারে চুলকানি, জ্বরও। প্রথমে ছোট ছোট সাদা পানির ফোসকা আকারে হয়, তারপর তা লাল হয়ে, কালচে হয়ে শুকিয়ে যায়। চিকেন পক্সের ক্ষেত্রে এমন গুটি বেরুনোর ৭ দিন আগে এবং শুরু হওয়ার ৭ দিন খুব সংক্রমণাত্মক। খেয়াল রাখা উচিত, ফোসকার জায়গাটা যেন চুলকানো না হয় তাহলে দাগ হয়ে যাবে।ভাইরাসবাহিত অসুখে আক্রান্ত হলে বাইরে বের হওয়া ঠিক হবে না।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ- জ্বরের লক্ষন অনুযায়ী Aconit Nap,Belladona,Bryonia Alb,Rhus Tox,Baptisia,Arsenic Alb,Ipecac,Cina,Pulsatilla,Merc Sol,Acid Mur,Chinium Sulph,Chininum Ars ইত্যাদি মেডিসিন ডাক্তারের পরার্মশ অনুযায়ী খাবেন।
*************************************************************
ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435
ওয়েব সাইট -www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
ফেসবুক–https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall