-শাহনাজ সুলতানা
জীবনের কয়েকটা দিন বেড়িয়ে এলাম হাসপাতালে
সংগ্রহ করলাম রোগীদের জীবন সম্পর্কে কঠিন ধারাণা।
হাসপাতালের অদূরে খুনসুটি ওই কৃঞ্চচূড়া গাছটা তার
তলোয়ারের মত লম্বা দাঁত গুলো বেরকরে খিলখিল করে হাসছে।
ও বলছে ও নাকি শ্রাবণের কাছ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করবে।
আমি তো ডাইনিটার কোনো ক্ষতি করিনি
তবে ও কেন শুধু শুধু এ কথা বলছে?
ডাইনিটার কথা শুনে আজ আমার মন ভাল নেই।
একটু দূরে নারকেলের চিরল চিরল পাতার ওপরে বসে
একঝাঁক খয়েরি শালিখ আপন মনে গল্প করছে।
মন পাখিটা ফুঁড়ুত করে উড়ে গিয়ে বসল ওদের কাছে
ওদের সাথে উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে কেটে গেল কিছুক্ষণ।
তারপর পাখি্টা ফিরে এল দুইশত ছয়খানা
সোনার কাঠিতে গড়া সোনার খাঁছায়।
শরতের শেষ বিকেল,নীলাকাশে ভাসছে তুলোর মত সাদা মেঘ
এক খন্ড মেঘ বলল বন্ধু, চল ঘুরে আসি পৃথিবী।
মুহুর্তে অদৃশ্য ডানায় ভর করে চেপে বসলাম সাদা মেঘের উপর।
সে আমাকে নিয়ে চলল ভ্রমনে
নিচে পাহাড়-সাগর-ঝর্ণা-নদী-সবুজ অরণ্য
আল্লাহর সৃষ্টি মনোলোভন কত বিচিত্র জিনিস যে আছে
সুন্দর এই পৃথিবীর বুকে তা বলে কখন শেষ হবে না।
ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ হাড়ি কালো মেঘ গর্জে উঠে
সমস্ত নীল আকাশটাকে গিলে ফেলতে চাইলো
সাদা মেঘের খন্ড উন্মদের মত ছুটতে থাকে তেপান্তরে।
আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম কি হল বন্ধু!
সাদা মেঘ খন্ড হাঁফাতে হাঁফাতে বলল
ঐ কালো মেঘ নীলাকাশকে নয় ও তোমাকে-
তোমার শ্রাবণের কাছ থেকে চিরতরে ছিন্ন করতে চাইছে।
বন্ধুর কথা শুনে মনটা আমার ভিষন খারাফ হল তবু আমি
ম্লান হেসে বললাম দূর কি বোকা তুমি বন্ধু,
কেউ চাইলেই কি আর সম্ভাব
শ্রবণের কাছ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করা।
শ্রাবণ তো আর কেউ নয়, সে যে আমার-
জন্ম থেকে জন্মান্তরের সাথী, আপনার চেয়ে আপন।
সে যে আমার প্রিয় বন্ধু,সে আমার জন্ম মাস।
শিরোনাম:
বুধবার , ২৬ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১২ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।