মিজানুর রহমান॥
চাঁদপুর ৯ম চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসব ২০১৭ এর ২য় দিনের কর্মসূচি লোকসংগীত প্রতিযোগিতা, বিতর্ক,সংবর্ধনা,আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৩টায় ক ও খ গ্রুপে লোকসংগীত প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে শুরু হয় উৎসবের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান। এতে ২টি বিভাগে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের ক্ষুদে ৬৫ জন ক্ষুদে শিশু শিল্পী অংশ নেয়।
বিকেল সাড়ে ৫টায় ইলিশ বিষয়ক প্রীতি বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বির্তকের বিষয় ছিলো “চাঁদপুর জেলা ব্র্যান্ডিংয়ে ইলিশ উৎসবের ভূমিকা সহায়ক নয় মুখ্য”। বিতর্কে অংশ নেয় চাঁদপুর সরকারি কলেজ বনাম ফরক্কাবাদ ডিগ্রী কলেজ। সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের আজীবন সদস্য প্রফেসর আলমগীর হোসেন বাহার এবং মডারেটরের দায়িত্বে ছিলেন চাঁদপুর কন্ঠর বিতর্ক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. আরিফ হোসেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পরিবেশিত হয় অগ্নিবীনা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংগীতানুষ্ঠান।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয় ইলিশ বিষয়ক আলোচনা সভা।এতে প্রধান অতিথি ও সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গণি পাটওয়ারী। চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টা গিয়াস উদ্দিন মিলনের সভাপ্রধানে ও চতুরঙ্গের মহাসচিব এবং এই ইলিশ উৎসবের রুপকার হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান(প্রশাসন ও অপরাধ) ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ¦ ওচমান গনি পাটওয়ারী বলেন, লোভ লালসার উর্ধ্বে থেকে আমরা জাটকা এবং মা ইলিশ রক্ষা করতে পারি ইলিশ শুধু সারা দেশের নয়,চাঁদপুরের সম্পদে পরিণত হবে। চাঁদপুরের ইলিশের প্রতি সারা বিশ্বের মানুষের বেশ আগ্রহ থাকে। বর্তমান সরকার বাংলাদেশের কয়েকটি জেলাকে ব্র্যান্ডিং জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তার মধ্যে চাঁদপুর অন্যতম। ইলিশের জন্যই চাঁদপুরকে ব্র্যান্ডিং হয়েছে। আমরা এ ইলিশ উৎসবের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে পেরেছি। এ জন্য দেশে এখন ইলিশের উৎপান বেড়েছে। ইলিশ সংরক্ষনে বর্তমান সরকারের গৃহীত প্রদেক্ষপ সফল হয়েছে।তিনি আরো বলেন,রাজনৈতিক একজন কর্মী ও জাতির পিতার আদশ্যের সন্তান হিসেবে সব সময় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।
আনুষ্ঠানের শুরুতে ফুলের শুভেচ্ছায় প্রধান অতিথিকে সংবর্ধিত করেন চতুরঙ্গের চেয়ারম্যান অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার, উৎসব অনুষ্ঠানের আহবায়ক রোটাঃ কাজী শাহাদাত, মৎস্যজীবিদের পক্ষে মানিক দেওয়ান। পরে সংবর্ধিত অতিথি এবং বিশেষ অতিথির হাতে ইলিশ উৎসবের ক্রেস্ট তুলে দেন সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ঞা সাহা।এরপর চাঁদপুরের বিশিষ্ট লেখক পীযুষ কান্তি রায় চৌধুরী রচিত ইলিশের উপর ছড়া বইয়ের মেড়ক উম্মোচন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি মালেক দেওয়ান.জেলা কালচারাল অফিসার আবু ছালেহ,বাংলার মুখ চাঁদপুর জেলার সভাপতি অজিত সাহা,বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসীন পাঠান,চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্রের আহবায়ক শহীদ পাটওয়ারীসহ আরো অনেকে।
সবশেষে রাত সাড়ে ৮টায় শিপ্রা ও রাখি মজুমদারের পরিচালনায় মৃত্তিকা মিউজিক একাডেমী ও নৃত্যধারা শিল্পীরা সংগীত এবং নৃতানুষ্ঠান পরিবেশন করেন।