শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুর মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায়
ঈদের দিন থেকে প্রশাসনের তৎপরতা শুরু করেছে। প্রশাসনের কঠোর অবস্থান থাকা সত্বেও নিষেধাজ্ঞা ও আইন অমান্য করে নদীতে ইলিশ শিকার করছে জেলেরা। নদীর পাড়ে বাড়ছে ইলিশের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম। প্রশাসন আসলেই নদীর পাড় মৎস আড়ত গুলোর পাশে দাড়িয়ে থাকে লোকজন। মূহূর্তের মধ্যে জেলে নৌকা উধাও, সরিয়ে নেয়া হয় ইলিশ মাছ। ছোট বড় ইলিশ নিধন চলছেই। নদীর পাড়ে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। প্রশাসনের গতিবিধি লক্ষ করে তারা মাছ ক্রয়-বিক্রয় করছে। সরজমিনে ঈদের দিন শুক্রবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, বহরিয়া ও দোকানঘর নদীর পাড় বহু মানুষ। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটুস লরেন্স চিরান ও চাঁদপুর মডেল থানার এস আই প্রদীপ সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স সেখানে হানা দিয়ে জেলে নৌকা ও মাছ কিছুই দেখতে পায়নি। কিন্তু সেখানে অনেক মানুষের সমাগম ছিলো। প্রশাসন চলে গেলে নৌকা পাড়ের দিকে চাপলেই মাছ দেখানোর পর সাথে সাথে চলে ক্রয়-বিক্রয়। মাছ কিনে ব্যাগে করে নিয়ে যাবার সময় আইনের লোক সামনে পরলে সেই ইলিশ মাছ জব্দ করা ছাড়া প্রশাসন নদীর পাড়ের ভাসমান আড়ৎ গুলোর ও জেলে নৌকার মাছ আটক করতে পারে না। ফলে তারা থাকে ধরাছোয়ার বাহিরে। হাইমচর উপজেলার প্রত্যেকটি আড়ৎ সংলগ্ন এলাকায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার আখনের হাট, আলুবাজার, ঈদগাবাজার, চরমুকন্দি খাল, হানারচরের নন্দী দোকান, রাড়ীকান্দি খালের মুখ, লক্ষীপুর গুচ্ছগ্রাম, বহরিয়া, রামদাসদি স্লুইচ গেট নদীর পাড়, দোকান ঘর গুচ্ছ গ্রাম, ইব্রাহিমপুর গুচ্ছ গ্রাম, পুরানবাজার পশ্চিম জাফরাবাদ ইদ্রিস খাঁন বাড়ি সড়কের নদীর পাড়, রনাগোয়াল, আনন্দবাজার, সফরমালি, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চর এলাকা, শরিয়তপুর জেলার চেয়ারম্যান স্টেশন ,দুলারচর, কাচিকাটা, চিরারচর, সুরেশ্বর এসব এলাকায় মা ইলিশ ব্যাপক নিধন ও ক্রয়-বিক্রয় করছে বলে জানা যায়। দিন রাত এখন ইলিশ শিকারের জন্য জেলেরা নদীতে সুযোগ খুজছে মাছ ধরার। অভিযানের প্রথমদিন নদীতে জেলে কম থাকলেও কম দামে ইলিশ কেনার মানুষের উপস্থিতি নদীর পাড়ে থেমে নেই। অভিযানের সামনের দিনগুলো কেমন যাবে এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুর রহমান জানান, প্রশাসনের কয়েকটি টিম টহলে রয়েছে। নদীতে কোষ্টগার্ড ও নৌ পুলিশ রয়েছে। তিনি আরো জানান, এখন ভরা প্রজনন মৌসুম চলছে। মা ইলিশ অর্থ্যাৎ ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম চলছে। পূর্নিমার আগের দুই দিন ও পূর্নিমার দিন এবং পরের ১২দিন অর্থ্যাৎ ২৫ সেপ্টেম্বও থেকে ১০ অক্টোবর এই ১৫ দিন নদীতে ইলিশ শিকার আইনত দন্ডনিয় অপরাধ।