এম এ আকিব ॥
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাটেরহদ গ্রামে পারিবারিক সম্পত্তিগত বিরোধকে কেন্দ্র করে একই বাড়ির দুই পরিবারের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে, এদের মধ্যে এক জনকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায়। নিহত মোস্তফা কামাল ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসের প্যাথলজিস্ট হিসেবে প্রায় ১০ বছর যাবৎ কর্মরত ছিলেন। ঘটনার বিবরণে জানাযায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাটেরহদ গ্রামে ১৫নং ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের কমর উদ্দিন পাটওয়ারী বাড়িতে একটি বসত ঘর নির্মান করার সময় সিরাজুল ইসলাম (৫৫) গং উক্ত বসত ঘরের জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে সেখানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মান করা যাবেনা বলে বাঁধা প্রদান করে। এর পর জমির মালিকানা দাবীদার সিরাজুল ইসলাম জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মসজীদে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষআবুল খায়ের,আবুল কাশেম, হারুনুর রশিদ , সোহাগ, আবু তাহের সহ অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। পিতাকে রক্ষা করতে সন্তানেরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনার রেশ ধওে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেও সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা এদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। আহতদের আশঙ্কাজনক বিধায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করে। আহতরা হলেন, মৃত আবুল হোসেনের পুত্র সিরাজুল ইসলাম (৫৫), তার পুত্র সাইফুল ইসলাম (২৪), মোস্তফা কামাল (৩০), নুরুল ইসলাম (৫০), আবুল কালাম (১৮), আবু তাহের (৪৫), ছকিনা (২৪) হারুন (৩০), সালেহা খাতুন (৫৫), আবুল কাশেম। আহত মোস্তফা কামালকে আশঙ্কাজন অবস্থায় ঢাকায় প্রেরন করা হলে পথিমধ্যেই সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে। মোস্তিফা কামালের মৃত্যুতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেও আশংকা রয়েছে। নিহত মোস্তফা কামাল গত ২ বছর পূর্বে সংসার জীবনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে ১ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
শিরোনাম:
বুধবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।