সংবাদদাতা: ট্রাকের চাকায় একটি পা হারালেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে যায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া পলাশ হোসেন। এমন পরিস্থিতিতে দুর্বিসহ জীবন নিয়ে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে এই শিশুটি। কিংবা জন্মের পর বাবাকে হারানো সম্রাট নামে ছয় বছরের এই শিশুটিও একটু ভালো খাবারের নাগাল পাইনি অতীতে।
নিয়মিত খাবার পেলেও পুষ্টিকর খাবারের নাগালের বাইরে ছিল ওদের মতো আরো অনেকে। তাই একটু ভালো খাবারের অপেক্ষায় ছিল বেশ কয়েকটি পরিবারের এমন একদল শিশু। যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেকটা অলস সময় কাটছিল এসব শিশুর। এমন অবস্থায় তাদের মুখে পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করেছেন শুভসংঘ, চাঁদপুর শাখার সভাপতি লায়ন মাহমুদ হাসান খান। নিজ জেলার গন্ডি পেরিয়ে পাশের লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার হায়দারগঞ্জ এলাকায় ছুটে যান তিনি। সেখানে বেশকিছু শিশুকে পুষ্টিকর খাবার মুখে তুলে দেওয়ার এমন প্রয়াস এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিবাচক ঝড় তুলেছে।
গ্রামীণ জনপদের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিশুদের একাংশের মুখে পুষ্টিকর খাবারের এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন হায়দারগঞ্জ বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে সম্পন্ন হয়েছে। এই উপলক্ষে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর বাহনের সহযোগিতা নিয়ে গত সোমবার শুভসংঘ, চাঁদপুর শাখা এই মহতী আয়োজন করে।
আলোর বাহনের সভাপতি গোলাম সাজদিন তাহমিদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুষ্মিতা পালের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, শুভসংঘ চাঁদপুর শাখার সভাপতি, বিশিষ্ট সংগঠক ও ব্যক্তিত্ব লায়ন মাহমুদ হাসান খান। অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কবি ও সাহিত্যিক মোস্তফা কামাল, শিক্ষক স্মৃতি কণা পাল, কালের কণ্ঠ‘র চাঁদপুর প্রতিনিধি ফারুক আহম্মদ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি কাজল কায়েস, চাঁদপুরের লাইট ফর হিউমিনিটির সামিয়া তাসনিম, পূজারিণী সর্দার, আলোর বাহনের সজিব মাহমুদ মিহান, হাওলাদার মো. সুমন, বাহার হোসেন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে লায়ন মাহমুদ হাসান খান বলেন, মানবিক এবং সেবামূলক কাজেরকোনো সীমারেখা নেই। যেখানেই চলমান সমাজের অসংগতি দেখা দেবে সেখানেই ছুটে যাবে শুভসংঘ। তাই শুভ কাজে সবার পাশে এমন মন্ত্র নিয়ে ছোটবড় সবার মুখে হাসি ফোটানো এই সংগঠনের ব্রত ও লক্ষ্য।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/