চাঁদপুরে নৌ-পুলিশ এএসপি রিপন কুমার মদকের প্রথম স্ত্রীর দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নৌ-ফাড়িতে সাক্ষ্য গ্রহন করেন।
গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় ওসি তদন্ত আরিসুল হক মামলার সাক্ষিরে কাছ থেকে ঘটন সম্পর্কে সাক্ষ্য গ্রহন করেন। জানাযায় গত ২০ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টায় চাঁদপুর নৌ-ফাড়িতে এসে এএসপি রিপন কুমার মদকের প্রথম স্ত্রী তমা বিশ্বাস স্ত্রীর স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য আসেন। এসময় এএসপি রিপন তার দি¦তীয় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ঘটনার সময় প্রথম স্ত্রী তমাকে বেদম পিটিয়ে আহত করে ফাড়ি থেকে চলে যায়। এ ঘটনায় তমা চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার পর নৌ-পুলিশ বিষয়টি অবগত হয়ে ঐ দিন রাতেই এএসপি রিপন কুমারকে তার কর্মস্থল থেকে অপসরন করে। ২২ ডিসেম্বর রিপন কুমার মদকের প্রথম স্ত্রী তমা চাঁদপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। দরখাস্ত নং-৪২৭/১৪। দরখাস্তটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেনের জন্য চাঁদপুর মডেল থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় ওসি তদন্ত আরিসুল হক মামলার সাক্ষিরে কাছ থেকে ঘটন সম্পর্কে সাক্ষ্য গ্রহন করেন। এএসপি রিপন কুমার মদকের প্রথম স্ত্রী তমা জানায় ২০০৬ সালের ১১ নভেম্বর ঢাকায় একটি মন্দিরে দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রিপন এএসপি হওয়া পর্যন্ত পরাশুনার খরচ বাবদ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সে এএসপি হওয়ার পর প্রতারনা করে দ্বিতীয় বিয়ে করে আর খোজ খবর নেয়নি। এ ঘটনা নৌ-পুলিশ হেড অফিসের উদ্ধতন কর্মকর্তারা জানার পর সিকিউরিটি সেলের মাধধ্যমে তার বিরুদ্ধে তদন্তের কাজ শুরু হয়। পরে তার চাঁদপুর নৌ-পুলিশে বদলি হওয়ার পর খবর পেয়ে ঘটনার দিন ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আসলে সে দেখে খিপ্ত হয়ে মারধর করে। তদন্তকারি কর্মকর্তা আরিসুল হক জানায় সাক্ষ্য গ্রহন শেষে প্রতিবেদন আদালতে প্রেরন করা হবে।