ট্রাক, ভ্যান, লরি ধর্মঘটের কারণে বাজারে পণ্য সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় পণ্য রাজধানীর বাজারে আসছে না। যাও আসছে পরিবহণে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। যে কারণে বেড়েছে দাম। সর্বশেষ গত একদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে- আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল, চিনি ও ডিম বাড়তি দরে বিক্রি হয়েছে। সব মিলে বাজারে ভোক্তার নাভিশ্বাস বাড়ছে।
এদিকে সোমবার খুচরা এসব পণ্যের বাড়তি দরের চিত্র সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার পণ্য মূল্য তালিকায় লক্ষ্য করা গেছে। টিসিবি বলছে, একদিনের ব্যবধানে কেজিতে খোলা আটার দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। কেজিতে প্যাকেটজাত ময়দার দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। পাশাপাশি ভোজ্যতেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ, প্রতিলিটার খোলা পাম অয়েল শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ, প্রতিলিটার পাম অয়েল সুপার ১ দশমিক ১১ শতাংশ, প্রতি কেজি চিনি ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ ও প্রতি হালি (৪ পিস) ফার্মের ডিম ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে।
রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৭ টাকা; যা একদিন আগে ৩৫ টাকা বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্যাকেটজাত ময়দা প্রতি কেজি কোম্পানিভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫২ টাকা; যা একদিন আগে ৪৫-৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮২ টাকা; যা একদিন আগে বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮০ টাকা। এছাড়া প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা; যা একদিন আগে ৩৮ টাকা বিক্রি হয়েছে।
ভোজ্যতেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার মানভেদে ১৪০-১৪৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে; যা একদিন আগে ১৩৮-১৪৫ টাকা বিক্রি হয়। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ৭৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে; যা একদিন আগে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া খোলা পাম অয়েল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৬ টাকা; যা একদিন আগে ১২৮-১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। পাম অয়েল সুপার প্রতিলিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা; যা একদিন আগে ১৩২-১৩৮ টাকা বিক্রি হয়।
রাজধানীর নয়াবাজারে পণ্য কিনতে আসা সালেকিন বলেন, ধর্মঘটের কারণে বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। দেখতে পারছি বাজারে পণ্য বেশি একটা নেই। যা আছে তার দাম আনেক বেশি। তাই এ মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম মনে হয় বৃদ্ধি ঠিক হয়নি। এতে ধর্মঘটও হতো না। পাশাপাশি পণ্যের দামও বাড়ত না। এমনিতেই বাজারে পণ্যের দাম বাড়তি ছিল। ধর্মঘটের কারণে আরও বেড়েছে।
একই বাজারের মুদি বিক্রেতা মো. তুহিন বলেন, বাজারে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তবে কোম্পানির কিছু ট্রাক ও ভাড়া করা কিছু ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য আনা হচ্ছে। কিন্তু ভাড়া অনেক বেশি নিচ্ছে। যে কারণে বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে। যার ভার ভোক্তার ওপর পড়ছে।