দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯৪ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা এক দিনে এটাই সর্বোচ্চ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে গত মঙ্গলবার ১৫৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
কন্ট্রোলরুমের বিবৃতিতে বলা হয়, ভর্তি হওয়া নতুন রোগীদের মধ্যে ঢাকায় ১৮১ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলার ১৩ জন রয়েছেন।
এ ছাড়া বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪২ জনে। বর্তমানে ঢাকার ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন মোট ৬১৮ জন। অন্য বিভাগে ভর্তি আছেন ২৪ জন রোগী।
চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে গতকাল পর্যন্ত মোট ২ হাজার ২৯২ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৬৪৬ জন।
একই সঙ্গে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ডেঙ্গু সন্দেহে চারজনের মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সাত নির্দেশনা : ডেঙ্গু প্রতিরোধে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি সাতটি নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। বুধবার রাতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এর আশপাশে যেসব জায়গায় স্বচ্ছ পানি জমার সম্ভাবনা থাকে সেসব জায়গা চিহ্নিত করে এক দিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে। অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে, যাতে পানি না জমে। হাই-কমোডে হারপিক ঢেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখতে হবে, লো-কমোডের প্যানে হারপিক ঢেলে মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে। কোনো জায়গায় জমা পানি থাকলে লার্ভিসাইড স্প্রে অথবা জমা পানি নিষ্কাশন করতে হবে।দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার সঙ্গে সমন্বিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।