স্টাফ রিপোর্টার:
ফলাফলের এক বছর পর ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিলাভ করেছে চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের নাফিসা তানসিম নিহা। শিক্ষা বিভাগের ভুলে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী বৃত্তির ফলাফলের পর এক বছরেও তার নাম প্রকাশিত হয়নি।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩৩নং শোল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহা ২০১৪ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়ে পাস করলেও বৃত্তির তালিকায় নাম ছিলো না। ফলে প্রায় ১ বছর সে বৃত্তির অর্থসব অন্যান্য বিষয় থেকেও বঞ্চিত হয়।
বছরব্যাপী নানা আবেদন ও ঝক্কি-ঝামেলার পর তদন্তশেষে নিহার বৃত্তিপ্রাপ্তির প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ২৪ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি ফরিদগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে আসে ৪ফেরুয়ারী। এ খবর পৌঁছলে নিহাসহ তার পরিবার ও সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা আনন্দে উদ্বেলিত হয়।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩৩নং শোল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোদেজা বেগম বলেন, ২০১৪ সালে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দেয় নাফিসা তানসিম নিহা। পরীক্ষায় নিহা এ প্লাস পেলেও বৃত্তির ফল প্রকাশের পর দেখা যায় সে বৃত্তি পায়নি।
পরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করলে এক বছর জেলা ও উপজেলা অফিস যাচাই-বাছাইশেষে দেখা যায় ভুলক্রমে তার প্রাপ্ত নম্বরের সাথে ১০ নম্বর যোগ হয়নি। ফলে সে বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রজ্ঞাপনে তাকে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তিন বছরের জন্য ট্যালেন্টপুল বৃত্তি প্রদান করে।
এ খবরে নাফিসা আনন্দে অভিভূত হয়ে বলে, ‘আমি এখন ভীষণ খুশি। দেরিতে হলেও বৃত্তিলাভ করেছি।’
নাফিসার বাবা ফরিদগঞ্জের শোল্লা বাজারের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং মা গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে সে বড়। নিহা ভালোভাবে লেখাপড়া করে চিকিৎসক হতে চায়। সে সবার দোয়াপ্রার্থী।