ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি
কেহ বলছে এ যেনো ঈদের ছুটি, আবার কেহ বলছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেই যেনো কর্ম দিবস। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এর কোনোটাই নয়। এটি হচ্ছে এদেশের �বলির পাঠা� জনগণের ভাগ্য। জনগণের কথা সরকারি দল ও বিরোধী দল উভয়ে বললেও জনগণকে জিম্মি করেই তারা সব করছে। জনগণ চাক বা নাচাক, মানুক বা না মানুক, সে জনগণের দোহাই দিয়েই সবকিছু চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। আর জনগণকেও এসব মেনে নিতে হচ্ছে। টানা অবরোধে বিপর্যস্ত দেশ। পুরো সপ্তাহেই থাকে অবরোধ। শুধু সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার দেশ থাকে অবরোধমুক্ত। আর এ শুক্রবারই হয়ে উঠে কর্মমুখর। ঈদের ছুটির মতো মানুষ গন্তব্যে ছুটতে থাকে এদিন। সে সাথে পণ্যবাহী যানবাহনও।
অবরোধ শেষে আবারো টানা চার দিনের অবরোধ শুরুর পূর্বে গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। সড়কগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ছে তারা। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ওই সড়কের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ডাকাতিয়া নদীর উপর সরু বেইলী ব্রিজে শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টার যানজটে দু�পাশে শতশত গাড়ি আটকা পড়ে। তখন পুলিশ উপস্থিত হয়ে ৫০টি করে গাড়ি এপাশ-ওপাশ করে যাওয়ার সুযোগ করে দিলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরোপুরি যানজট মুক্ত হয়নি সড়কটি।
জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকাবাহী সিএনজি স্কুটারের চালক জানান, দুপুর দেড়টার দিকে তিনি পত্রিকা নিয়ে ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তায় এসে যানজটে আটকা পড়েন। পরে বিকেল ৪টায় তিনি পত্রিকা নিয়ে ফরিদগঞ্জ ম্যাগাজিন হাউজে এসে পৌঁছেন। এদিকে দুর্ভোগের শিকার কয়েকজন যাত্রী জানায়, এই সড়কটিতে তীব্র যানজটের কারণে তারা পুরাতন সড়ক দিয়ে এসে ফরিদগঞ্জ ডাকবাংলো সংলগ্ন খেয়াঘাট পেরিয়ে ফরিদগঞ্জ বাজারে আসেন। তারা জানায়, প্রশাসন সকাল থেকেই একটু বাড়তি ভূমিকা নিলে এই যানজটের সৃষ্টি হয়ত হতো না।