খোরশেদ আলম শিকদার ঃ
স্কুলের একমাত্র ভবনে ফাটল হওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাশ নেয়া হচ্ছে গাছতলায়। আর মেঘ ডাকলে দেয়া হচ্ছে ছুটি।
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১নং সাচার ইউপির ১৬৪নং হাতিরবন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে ৩’শ শিক্ষার্থী বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আক্তার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টির ভবনে ফাটল জেনে আমি তাৎক্ষনিক কচুয়া উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে জানানোর পর তিনি বিদ্যালয়ে তার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার পাঠিয়েছি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে।
কচুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হেমায়েতুল ফারুক ভূইয়া বলেছেন, ভবনে ফাটলের বিষয়ে আমরা মাসিক সভায় উপস্থাপন করেছি। আমাদের নোট দেয়া দরকার দিয়েছি আর কি করব।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন, সদস্য ছালেহা আক্তার, ছফিউল্যাহ, ছাদেক মিয়া ও সুরুজ মিয়া বেপারী বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন ফাটল ও হেলে যাওয়ার পর আমরা তাৎক্ষনিক লিখিতভাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি বিদ্যালয় ভবনটিতে ফাটল ও ভবন হেলে পড়েছে। এর বাইরে আমাদের আর কি করার আছে। আমরা শিক্ষকদের বলেছি বাইরে ক্লাস করানোর জন্য। শিক্ষকরা রোদ্রের মধ্যে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে বাইরে ক্লাস করে। বৃষ্টি আসলে ছুটি দিয়ে দেয়।
অভিভাবকরা বলছে, আমাদের স্কুলের শিক্ষক স্টাফ খুবই ভাল। আজ ভবন না থাকায় আমাদের ছেলে মেয়েরা ঠিকমত ক্লাস করতে পারছেনা। সামনে সমাপনি ও বার্ষিক পরীক্ষা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার বলেন, বিদ্যালয়টি সরকারী ঘোষনা হয়েছে আজও আমরা বেতন পাইনা। যদি আমাদের সামর্থ থাকত তাহলে আমাদের নিজস্ব টাকা দিয়ে হলেও টিন দিয়ে ঘর উঠিয়ে ক্লাস নিতাম। তিনি আরো বলেন, সামনে শিক্ষার্থীদের সমাপনি ও বাষিক পরীক্ষা কিভাবে তাদেরকে পাঠদান দিব বুঝতেছিনা। খোলা আকাশের নিচে কতক্ষন পাঠদান করানো যায়।
বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, গাছের নিচে কোমলমতি শিশুদের ক্লাশ নেয়া হচ্ছে। এসময় সাংবাদিক দেখে আশায় বুক ভরে নেয় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাদের দূর্ভোগের চিত্র প্রকাশ পাবে কর্তপক্ষ দেখবে, নতুন ভবন হবে। ভবনে তারা ক্লাস করবে। কতইনা আশা তাদের।