খোরশেদ আলম শিকদার ঃ
কচুয়ায় আইনপুর গ্রামে মোজাম্মেলের বিল্ডিংয়ের ওপর পল্লীবিদ্যুৎ ফোর ফরট্রি ভোল্টেজ লাইনের তারে কভার লাগাতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে রবিউল (১৮) নামের কিশোরের ডানহাত কাটা পড়েছে। মৃত্যু শয্যায় কাতরাচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঐউট বার্ন ইউনিটের ৮নং বেডে। এর দায়ভার কে নিভে ? রবিউল নিজে ? মোজাম্মেল, নাকি পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ। এ প্রশ্ন সকলের।
বিবরনে প্রকাশ,উপজেলার আইনপুর মধ্যপাড়া গ্রামের কেরানি বাড়ির মৃত চারু মিয়ার ছেলে সৌদী প্রবাসী মোজাম্মেল তার বিল্ডিংয়ের ওপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর ফোর ফরটি ভোল্টেজ এর লাইন রয়েছে। মোজাম্মেল বিদ্যুৎ এর দূর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ বিভাগের কাউকে না জানিয়ে তারে কভার লাগানোর জন্য ৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে আইনপুর গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে কিশোর রবিউলকে ডেকে নিয়ে বিদ্যুৎ এর ফোর ফরট্রি ভোল্টেজ লাইনের তারে প্লাষ্টিকের পাইপ লাগাতে বলে। কিশোর রবিউল মোজাম্মেলের কথামত তারে পাইপ লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎ তারে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মোজাম্মেল বিল্ডিং এর কার্নিসে আহত হয়ে আটকে পড়ে।
মোজাম্মেলকে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঐউট বার্ন ইউনিটের ৮নং বেডে ঐদিনই ভর্তি করে। তার চিকিৎসক প্রফেসার সালমা আক্তার। ৯ আগষ্ট মঙ্গলবার রবিউলের ডানহাত কেটে ফেলা হয়। শুধু তাই নয় রবিউল হাসপাতালে এখনও মৃত্যু শয্যায় কাতরাচ্ছে। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসায় প্রায় সাড়ে ৩লাখ টাকা ব্যায় করা হয়েছে।
রবিউলের দরিদ্র বাবা কবির হোসেন বলেন,আমার ছেলেকে নিয়ে আমার কত স্বপ্ন ছিল। আমার ছেলে রবিউলের ও বহু স্বপ্ন ছিল। তাকে ঘিরে আমার স্ত্রী পরিবারের অনেক উচ্চ মানের স্বপ্ন ছিল। ছেলে রবিউল বিদেশ যাবে অনেক টাকা উপার্জন করবে সংসারের দরিদ্রতা মূছে দিবে। সবই যেন চুরমার হয়ে গেল সামন্য ভূলের কারনে। রবিউলের এ ক্ষয়ক্ষতির দায়ভার কে নিবে ? রবিউল নিজে ? মোজাম্মেল নাকি পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ ? এ প্রশ্ন সকলের । অভিজ্ঞ মহল বলছে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের খামখেয়ালির কারনে কচুয়ায় একের পর এক দূর্ঘটনা ঘটেই চলছে। এর দায়ভার তাদেরই নিতে হবে।