আবু সাঈদ, কচুয়া
চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভা ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ১৭ বছরে এ পৌরসভাটি ৩য় শ্রেণী থেকে বর্তমানে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষনা অনুযায়ী ডিসেম্বেরের শেষের দিকে কচুয়া পৌরসভার নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে সম্ভাব্য মেয়র পদে আওয়ামীলীগের ৭জন ও বিএনপির ৩জন প্রার্থীসহ মোট ১০জন নির্বাচনী প্রচারনায় ভোটারদের দরজায়। এতে প্রার্থীরা তাদের স্ব-স্ব কৌশলে নির্বাচনীয় প্রচারনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৭ জন ও বিএনপির ৩ জন মেয়র প্রার্থীর নাম প্রচারনার মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে।
এবারের পৌর নির্বাচনটি দলীয় প্রতীকে হওয়ার কারনে কচুয়া পৌরসভার প্রেক্ষাপট পুর্বের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন। দলীয় মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যেই অনেক স্থানীয় নেতা থেকে হাই কমান্ড পর্যন্ত লবিং শুরু করেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারনায় চায়ের দোকানে এবং ছোট খাট উঠান বৈঠক করছেন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত।
আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নিয়ে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত সদস্য ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবীব প্রানজল, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আহসান হাবিব, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নাজমুল আলম স্বপন, পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মনজুর আহমেদ সুজন, পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য মনির প্রধান ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য জাকির হোসেন (বাটা)।
বিএনপি থেকে দলীয় প্রতীক নিয়ে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা হলেন- উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বর্তমান মেয়র হুমায়ুন কবির প্রধান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তাহের মিয়া, উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহবুব আলম। দল থেকে কারা মনোনয়ন পাচ্ছেন এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে ভোটারদের মাঝে।
কচুয়া উপজেলার আওয়ামীলীগের একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, চাঁদপুর ৭টি পৌরসভার মধ্যে কিছুটা ভিন্ন এ পৌরসভাটি। এখানে যদিও আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী প্রচারনা চালাচ্ছেন, তবে দল থেকে একজনকেই দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ পাবে। যদি কেউ দলের বাহিরে নির্বাচন করেন, তা হলে তার বিরুদ্ধে দল থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কে পাবে দল থেকে নির্বাচনের সুযোগ তা নির্ভর করে স্থানীয় সাংসদ, সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এর উপর। তিনি যাকে দল থেকে মনোনয়ন দিবেন, তিনিই হবেন কচুয়া পৌরসভার আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী।
উপজেলা ও পৌর বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, এবারের পৌর নির্বাচনটি দলীয় প্রতীকে হওয়ার কারনে কচুয়া পৌরসভার নির্বাচনটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। তবে বর্তমান মেয়র উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির প্রধান এবারও দল থেকে মনোনয়ন পেলে এবং সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর সাথে তীব্র লড়াই হবে বলে ভোটারদের মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে। তবে শেষ পর্যন্ত দল থেকে ১জন করেই আওয়ামীলীগ-বিএনপির মনোনয়ন দেয়া হবে বলে জানান উভয় দলের সীর্ষ নেতারা।
নির্বাচনীয় মাঠে আওয়ামীলীগের ৭জন প্রার্থী ও বিএনপির ৩জন প্রার্থী প্রচারনায় ব্যস্ত রয়েছেন। ফলে নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনীয় আমেজ কচুয়া পৌরসভার প্রতিটি এলাকায় বিরাজ করছে। ‘কে হবে কচুয়া পৌরসভার আগামী দিনের মেয়র’ এ হিসাব নিকাশ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে সাধারন ভোটাররা।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।