আবু সাঈদ, কচুয়াঃ
কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের দারাশাহী তুলপাই বাজারের খোকন মিয়ার চা দোকানের শ্রমিক কালু মিয়া (৩০) কেরোসিনের পাম্প চুলা বিষ্ফোরনে জলসে যাওয়ার পর অবশেষে চার দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার রাত ৩ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে মারা যায়। এই দিন দুপুরে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, তার মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে পরিবারের সদস্যদের আহজারি সহ পুরো এলাকায় হৃদয়ে এক গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। বিকালে বাদ আছর তার জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রকাশ, শুক্রবার ৩ মার্চ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ওই চা দোকানের শ্রমিক কালু মিয়া সিঙ্গারা বাজি করতে কেরোসিনের সুলায় আগুন দিয়ে হাওয়া দেয়ার সময় হঠাৎ তা বিষ্ফোরন হয়ে আগুনের পুলকিতে শরীর জলসে যায়। মুহুর্তের মধ্যে তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই সময় মারা যায়। চা দোকানের মালিক খোকন মিয়া কান্না কন্ঠে জানান, কালু বহু বছর থেকে আমার দোকানে কাজ করে আসছে। আমি তাকে কখনও কর্মচারী হিসেবে দেখতাম না। বন্ধু হিসেবে দু’জনের হৃদয়ে স্থান ছিল। দোকানের সুলার কোন ক্রুটি ছিল। হয়তো হাওয়া একটু বেশি দেয়ার কারনে তা বিষ্ফোরন হয়। আমি সকল চিকিৎসা খরচ বহন করেছি এবং আমার সমর্থন অনুসারে তার স্ত্রী ও ৬ বছরের একমাত্র ছেলে সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য সহযোগিতা করব। এ দিকে কালুর বড় ভাই ইমান হোসেন ও শাহজাহান বলেন-চা দোকানের মালিক খোকনের প্রতি আমাদের কোন অভিযোগ নেই। সে আমাদের সাথে থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ বহন করা সহ কালুর পরিবারের জন্যও সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছে। কালুর বাবা নেই। সে ছোট দৌচালা একটি ঘরে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে কোন দিনাতিপাত করে আসছিল। অসহায় কালুর স্ত্রী ও শিশু পুত্রের ভবিষ্যৎ সচ্ছল রাখার জন্য কচুয়ার উন্নয়নের রূপকার ও প্রানপ্রিয় নেতা ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিকট সহযোগিতার কামনা করেছে-তুলপাই গ্রামের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার হালিম সহ এলাকার শত শত লোকজন।
শিরোনাম:
রবিবার , ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ৩১ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।