আবু সাঈদ, কচুয়াঃ
কচুয়া উপজেলায় ইরি ধান নেকব্লাস্ফ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১২হাজার ১‘শ ৩০ হেক্টর জমিতে ইরি ধান চাষাবাদ করা হয়। বিগত বছরের চেয়ে এ বছর ইরি ধানের বাপ্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষকরা অভিমত প্রকাশ করছে। কিন্তু কচুয়া উপজেলার সকল মাঠের ইরি ফসলই কম-বেশ নেকব্লাস্ফ (ঘবপশ ইষধংঢ়) রোগে আক্রান্ত হয়েছে। দিনের পর দিন এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বেড়েই চলছে। কোন কোন কৃষকের ইরি ধানের জমি উক্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ বিনষ্ট হয়ে গেছে। অনেক কৃষকরাই চাষাবাদে বিনিয়োগকৃত মুলধনের অর্ধেক অর্থের ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কিনা সন্দেহ পোষন করছেন। আশাব্যাঞ্জ ফলন স্বল্প সময়ের মধ্যে এ রোগে বিনষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকদের মুখের হাসি যেন কেউ কেড়ে নিয়ে গেছে। ধান গাছের শীস বের হওয়ার অংশে প্রথমত কালো দাগ সৃষ্টি হয়। এ কালো দাগ সৃষ্টি হওয়ার ২/১ দিনের মধ্যে ধানের ছড়া দ্রুত শুকিয়ে সাদা বর্ন হয়ে যায় (চিটা হয়ে যায়)। সবচেয়ে ইরি-২৮ ধানের ছড়া এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এটি নেকব্লাস্ফ রোগ। ঝড় বৃষ্টি হলে ধানের ছড়া এ রোগে আক্রান্ত হয়। কচুয়া উপজেলায় সম্প্রতি কয়েক দফা ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার কারনেই এ রোগ দ্রুুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ রোগ প্রতিরোধে আক্রান্ত জমিতে এমিষ্টার টপ, নিটাভো ও মিলিয়া নামক কীটনাশক ঔষধ স্প্রে করে দিতে হবে। প্রথম বার স্প্রে করার ৮/৯ দিন পর দ্বিতীয় বার স্প্রে করতে হবে। এ নিয়মে যাতে কৃষকরা উক্ত কীটনাশক ঐষধ ব্যবহার করে সেজন্য উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে উপ-সহকারি কর্মকর্তরা মাঠে ময়দানে থেকে কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।