প্রতিনিধি
কচুয়ায় মিতু আক্তার (১৫) নামের এক কুমারীর সন্তান প্রসব নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কুমারী মিতু আক্তার উপজেলার আটোমোর গ্রামের শহিদুল ইসলামের কন্যা। গত বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে সন্তান প্রসবের এ ঘটনা ঘটে। মিতু আক্তার বর্তমানে তার পরিবার পরিজন নিয়ে পাশ্ববর্তী কুমিল্লার তিতাস উপজেলার লালপুর গ্রামে তার নানার বাড়ীতে বসবাস করছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার ২নং পাথৈর ইউনিয়নের আটোমোর গ্রামের অধিবাসী মৃত: আঃ আজিজের বখাটে পুত্র হযরত আলী (১৯) একই বাড়ীর চাচাতো বোন সর্ম্পকে মিতু আক্তার কে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়।
একপর্যায়ে মিতু আক্তার ৫ মাসের গর্ভবর্তী হয়ে পড়লে বখাটে হযরত আলী তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। বিষয়টি মিতুর মা ও তার পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে তাকে চাপ প্রয়োগ করলে অনাগত সন্তানের পিতা হযরত আলী বলে জানায়। পরে মিতু আক্তার নিরুপায় হয়ে অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে এলাকায় সমাজপতিদের দারস্থ হলে বখাটে হযরত আলী অনাগত ওই সন্তানকে নষ্ট করার পরামর্শ দেয়। মিতু আক্তার বখাটে হযরত আলী কথা অনুযায়ী সম্প্রতি সময়ে বোনাজি ঔষধ খেয়ে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে।
পরে গত বৃহস্পতিবার পেট ব্যাথা অনুভব হলে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: বিজয় কৃষ্ণ সাহার নিকট গেলে তিনি ওই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার এবিএম রাকিবুল হাসানের কার্যালয়ে পাঠায়।
পরে তিনি মিতু আক্তারের পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাশ্ববর্তী মনোয়ারা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পাঠায়। সেখানে যাওয়ার পর মিতু আক্তারের প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়লেটে গেলে সেখানে তার মৃত সন্তান প্রসব হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তরিগড়ি করে মিতু আক্তারকে কচুয়া হাসপাতাল থেকে দাউদকান্দির (গৌরীপুর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, মিতু আক্তার সম্পর্কে চাচাতো বোন হওয়ার সুবাদে বখাটে হযরত আলী সময় অসময়ে তাদের গৃহে আসা যাওয়া করত। এছাড়া তাদের গৃহে মিতু আক্তার ও হযরত আলী প্রায়ই দিন সময় কাটাতো। তাদের এ কাজে হযরত আলীর বড় ভাই রজ্জব আলী ও ভাবী হালিমা আক্তার সহায়তা করত। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে হযরত আলী-মিতু আক্তারকে নিয়ে দিনের পর দিন অশালীন মেলামেশা হত। এদিকে ঘটনার পর বখাটে হযরত আলী বর্তমানে পলাতক রয়েছে বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছে। আটোমোর গ্রামের মোড়লও হযরত আলীর ভাই রজ্জব আলীর শ্বশুর আলী আর্শ্বাদ মিয়া জানান, বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মিয়াজীর মাধ্যমে তাদের বিয়ের চেষ্টা চলছে।
তবে তাদের বিয়ে হলেও অনাগত সন্তান হত্যার বিষয়ে প্ররোচনাকারী বখাটে হযরত আলী ও তার পরিবারের জড়িত লোকদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
শিরোনাম:
সোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৮ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।