কচুয়া প্রতিনিধি-
কচুয়া উপজেলার আলিয়ারা গ্রামের মৃত আঃ মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ মানিক সন্ত্রাসীদের দাবিকৃত অর্থ চাঁদা দিতে না পারায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। সন্ত্রাসীরা তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে। তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পুনঃ হয়রানি বা নিজেদেরকে রক্ষার তাগিদে আহত মানিকের নামে মিথ্যা মামলা করে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে একের পর এক হয়রানি করে আসছেন। নিরীহ সহজ সরল আহত মানিকের পক্ষে সু-বিচারের আশায় চাঁদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার ভাই আনোয়ার হোসেন মামলা করেন। এ মামলা করেও তারা রক্ষা পায়নি। কচুয়া উপজেলার আলিয়ারা (রাজ বাড়ির) মোঃ জসিম উদ্দিন, পিতা মৃত জাফর আহমেদ, বিল্লাল হোসেন (মাস্টার), মোঃ লুৎফর রহমান, মোঃ মনির হোসেন উভয়ের পিতামৃত আঃ কাদির, মোঃ রাশেদ মিয়া, পিতা আলী আজ্জম, আলী আজ্জম, পিতা জাফর আহম্মদের দ্বারা একের পর এক মিথ্যা মামলার হয়রানির শিকার হয়ে পরিবারটি অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে।
জানা যায়, মিথ্যা মামলা, হামলার শিকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ মানিক দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা এ্যালিফ্যান্ট রোডে তার ব্যবসায়িক কাজে সে তার দেশের বাড়ির কিছু সম্পত্তি বিক্রি করার লক্ষ্যে জনৈক ক্রেতার সাথে দাম নির্ধারণ করে। এ সংবাদ জানতে পেরে মোঃ জসিম উদ্দিন বিল্লাল হোসেন (মাস্টার), লুৎফুর রহমান, মোঃ মনির হোসেন তার নিকট মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে এবং তাকে চাঁদা দেয়ার জন্য নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। এক পর্যায়ে মানিক উক্ত ঘটনা এলাকাবাসীসহ ক’জনকে জানালে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং তাকে প্রাণে মেরে ফেলার নানা ফন্দি ফিকির খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত ৯টার সময় আলিয়ারা বাজারের কাছে আউয়াল ডাক্তারের দোকানের পাশ দিয়ে মানিক ও ছামাদ যাওয়ার পথে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী জসিম, বিল্লাল, লুৎফর রহমান, মনির হোসেন এদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। যদি চাঁদা না দেয়া হয় তাহলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এক পর্যায়ে তারা প্রাণপণে বাঁচার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সন্ত্রাসীরা মানিককে প্রাণে মেরে ফেলার লক্ষে তাকে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা নানা স্থানে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে পাশের খালে ফেলে দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে প্রাণে মারার অপচেষ্টা করে। মানিক ও তার সাথে থাকা সঙ্গী ছামাদ প্রাণপণে বাঁচার তাগিদে ডাক-চিৎকার দিলে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাদের সাথে থাকা ২/৩ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, দামী মোবাইল ফোনসহ নগদ টাকা-পয়সা নিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে।
জানা যায়, তারা মানিককে প্রাণে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন হয়রানি করার লক্ষে উল্টো তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অজুহাত সৃষ্টি করে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং একটি রাজনৈতিক দলের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ার ফলে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে কচুয়া থানায় মানিকসহ তার আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এজাহার দায়ের করেন। তারা এজাহার দায়ের করেই শুধু ক্ষান্ত হয়নি, তাকে ফাঁসানোর জন্য একের পর এক চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তারা তার ভাড়া করা গাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রেখে পুলিশে খবর দিয়ে তাকে ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশের তদন্তে জানা যায় অস্ত্র রাখার ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক। এমনিভাবে বারবার হয়রানির শিকার হয়ে মামলা-মোকদ্দমার কারণে মানিকের পরিবারটি সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে। তাদের দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে, যারা তাকে এভাবে মিথ্যা মামলা-হামলা করে প্রাণে মেরে ফেলার হীন চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে সে চক্রানত্দকারী মোঃ জসিম উদ্দিন, বিল্লাল মাস্টার, লুৎফর রহমান, মনির হোসেন, রাসেদ মিয়া ও আলী আজ্জমসহ তাদের সামাজিক অবস্থান, তাদের আয়ের উৎসহসহ বিভিন্ন ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার বিচার করেন তাহলে ভুক্তভোগী মানিকসহ অনেক নিরীহ পরিবার জসিম উদ্দিন ও বিল্লাল গংয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।