খোরশেদ আলম শিকদার,
চাঁদপুরের কচুয়ায় সাচার বাজারের তালুকদার মার্কেটের জেক্স কালেকশানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। শেষ মুহুর্তের ঈদ কেনাকাটার অংশ হিসেবে থ্রি-পিছ, শার্ট, প্যান্ট, জুতা, গহনা, কসমেটিক্স এর দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভীড় বাড়ছে। ফ্যাশনের দেশীয় ব্র্যান্ডের শোরুম গুলোতে ভীড় ছিল লক্ষনীয়। এছাড়া জুয়েলারী শোরুম, ফুড কোটসহ সর্বত্রে জনসমাগমে মুখর ছিল।
এছাড়া অন্যান্য শোরুমে ঘুড়াঘুড়ি করছেন নতুন কিছু কেনার আসায়। কয়েকটি শোরুমে বিক্রয় কর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ক্রেতার চাপ বাড়তে থাকায় তারা পোষাক কারখানায় নতুন করে অর্ডার দিচ্ছেন। অনেক মার্কেটে চাঁদ রাতকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন মডেলের পোষাক ওঠানোর মনোযোগী হচ্ছেন দোকান মালিকরা। বিক্রেতারা জানান, আগামী দুই দিনে ক্রেতাদের চাপ থাকবে বেশি। ঈদে গরম হওয়ায় ক্রেতাদের স্বাচ্ছন্দের কথা বিবেচনা করে পোষাক উঠানো হয়েছে। ভারতীয় পোষাক ডিজাইনের মধ্যে মনিষ, মালহোত্রা, সঙ্গীতা, শিবরানী, সত্য পালের ডিজাইন করা পোষাকের চাহিদা বেশি। এছাড়া পুরুষের মধ্যে ওয়েষ্টকোর্ট, ডেনিম জিন্স, বিখ্যাত ব্র্যান্ড, ফ্যান্সের লা ভিউজের পোষাক রাখা হয়েছে।
ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি পোষাকে ১৫ শতাংশ ছাড় দিচ্ছেন বিক্রেতারা। দোকান মালিকরা জানান, বছরের অন্যান্য সময়ে পোষাকে লাভ করলেও ঈদে একটু বেশি ডিসকাউন্ট দিতে চেষ্টা করি। তাই অন্যান্য মার্কেট গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, জুতা আর কসমেটিকস এর দোকান গুলোতে ভীড় বেশি। মাদার ফ্যাশন এন্ড বস্ত্রালয়ের রফিকুল ইসলাম জানান, এখন ভালোই বিক্রি হচ্ছে। আগামী দুই দিনে ক্রেতাদের আরো বেশি চাপ থাকবে বলে আশা করি। মদিনা প্লাজার আখি সুজ এন্ড কসমেটিকস এর মালিক মীর আমির হোসেন জানান, এখন ভালো বিক্রি হচ্ছে। সবাই ম্যাচিং করেই চুড়ি, দুল, মালা, মাথার খোপা, পায়েল ও ব্রেসলেট কিনছেন।
এসময় ক্রেতা কুলসুম বেগম বলেন, ঈদের পোষাক কেনা শেষ, এখন দুই মেয়েকে নিয়ে গহনা কিনতে এসেছি। জামার সঙ্গে ম্যাচিং করে কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সঙ্গে ব্যাগ ও অন্যান্য চুড়ি, কসমেটিকস কিনব। বৃহত্তম সাচার বাজার তালুকদার মার্কেটে পোষাক কিনতে আসা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শরীফুল সরকার বলেন, এতদিন ধরে জামা কাপড়সহ অন্যান্য শপিং করেছি। এখন আমার ও বাবা মার জন্য জুতা অন্যান্য শপিং করব।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।