খোরশেদ আলম শিকদার ঃ
চাঁদপুরের কচুয়ায় গৌরীপুর-হাজিগঞ্জ সড়কের ১৫তম কি.মি এ রাজারামপুর-নয়াকান্দি রোডের খালের ওপর সাঁকোটি ব্রীজ হলে কমে যাবে হাজার জনগণের দূর্ভোগ ও ২ কিলোমিটার রাস্তা। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের ২ বছর পার হলেও নির্মান কাজ শুরু হয়নি। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সড়ক বিভাগ চাঁদপুর এর প্রস্তাবিত সাচার সেতুটির ২৫ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর ।
বিবরনে প্রকাশ, চাঁদপুরের কচুয়ায় গৌরীপুর-হাজিগঞ্জ সড়কের ১৫তম কি.মি এ রাজারামপুর-নয়াকান্দি রাস্তার খালের ওপর সাঁকোটি সাচার বাজারের উত্তর পাশে অবস্থিত। ব্রীজ না হওয়ায় ঐতিহ্যবাহী সাচার উত্তর বাজারটি অযতেœ অবহেলায় পড়ে আছে। সাচার রাজারামপুর,নয়াকান্দি,শুয়ারোল,মঙ্গলমুড়া,রাগদৈল গ্রামের স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার জনগণ রাজধানী ঢাকাসহ সাচার বাজারে যেতে ২ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরতে হয়।
সাঁকোটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দৈনিক শত শত স্কুল,কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ জনগণ যাতায়াত করে। সাঁকো পাড়াপাড়ার হতে গিয়ে শিক্ষার্থীসহ বহু লোকজন সাঁকো থেকে পড়ে হাত-পা ভেংগেছে আহত হয়েছে। ব্রীজটি নির্মান করা হলে পাল্টে যাবে দূর্ভোগ। উন্নত হবে জীবন যাপন। পাল্টে যাবে সাচার উত্তর বাজারের অবহেলিত চিত্র।
১নং সাচার ইউপির চেয়ারম্যান ওসমান গনি মোল্লা বলেন, ব্রীজটি জনগুরুত্বপূর্ন হওয়াতেই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর ব্রীজটি নির্মানের লক্ষ্যে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন।
সাচার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেছেন, ব্রীজ নির্মান না হওয়ায় সাকো দিয়ে পাড়াপার হতে গিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়াপার হতে হয়।
সাচার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বটুকৃঞ্চ বসু বলেন,সাঁকোটি দিয়ে পাড়াপাড় হতে গিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে , ব্রীজ নির্মান অতীব জরুরী।
সাচার বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ সেলিম কবির বলেন, সাচার বাজারটি চাঁদপুর জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। এ ব্রীজটি না হওয়ায় বাজারের উত্তরাংশের ৭০ভাগ দোকান অবহেলায় অযতেœ পড়ে আছে। ব্রীজটি জরুরী ভিত্তিতে নির্মানের দাবী জানান।
সাচার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, ব্রীজটি নির্মান খুবই জরুরী।
সাচার ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনির হোসেন বলেন,ব্রীজটি নির্মানের জন্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের ২ বছর পার হয়ে গেছে কি কারনে ব্রীজটি নির্মান হয়নি জানিনা। ব্রীজটি জরুরী ভিত্তিতে নির্মানের দাবী জানান।
রাজারামপুর গ্রামের মিজানুর রহমান মোল্লা,সফিকুল ইসলাম মোল্লা,ও জাকির হোসেন বলেন, সাঁকোটি আমাদের বাড়ির সামনে। আমরা দেখি সাঁকোটি দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার জনগণ পাড়াপাড় হয়। কতমানুষ সাঁকো থেকে পড়ে হাত-পা ভেংগেছে। ব্রীজটি দ্রুত নির্মানের দাবী জানান।