খোরশেদ আলম শিকদার,
চাঁদপুরের কচুয়ায় সন্ধ্যা হলেই ডাকাতদের দখলে চলে যায় রাস্তা ও গ্রাম। প্রতিনিয়ত সংঘঠিত হচ্ছে ডাকাতি। আতংকে কচুয়ার প্রায় ৫০ গ্রাম। অসহায় রাস্তায় চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী ও সাধারন মানুষ। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মঙ্গলমূড়া গ্রামের শাখাওয়াত হোসেন (শওকত) ও জয়নগর গ্রামের ফরিদ বিএসসির বাড়িতে ডাকাতদল প্রবেশ করে নগদ অর্থ,স্বর্নালংকার, মোবাইল সেট, কাপড়সহ প্রায় ১০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সাচার ফাঁড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মোস্তফা চৌধূরী শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সাচার পুলিশ ক্যাম্পে পুলিশ বৃদ্ধির দাবী ৫০ গ্রামবাসীর।
গৃহকর্তা শওকত জানায়, শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ২ ঘটিকার সময় বিল্ডিংয়ের কেসি গেটের ৩টি তালা খুলে ১০/১২ জনের ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে তাদের ৩/৪জন মুখোশধারী বাকীরা মুখোশ ছাড়া ছিল তাদের প্রত্যেকের হাতে রামদা, কিরিজ, ধারালো দা, ছুরিসহ বিভিন্ন অস্ত্রের মুখে আমাকে জিম্মি করে মারধর করে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৪টি মোবাইল সেট, ৫ভরি স্বর্ন,কাপড়সহ প্রায় ৫লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় ১ ঘন্টা যাবৎ রাত ৩টা পর্যন্ত তান্ডব চালায় ডাকাতদল। যাওয়ার সময় বলে যায় এ বিষয়ে থানা পুলিশকে জানালে ক্ষতি হবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। এ সময় শাখাওয়াতের স্ত্রী, ছোট ছোট শিশুরা এ তান্ডব দেখে ভয় পায়।
এদিকে একই কায়দায় পাশ্ববর্তী জয়নগর গ্রামের ফরিদ বিএসসির বাড়িতে ডাকাতি করে তাহার ঘর থেকে নগদ অর্থ, স্বর্নালংকার, কাপড়সহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
চাঁদপুরের কচুয়ার উত্তরাঞ্চল ১নং সাচার, ২নং পাথৈর, ৩নং বিতারা, ৪নং পূর্বসহদেবপুর, ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউপিতে এখনও সেই মানদাদার আমলের মতোই প্রতিরাতে সংঘঠিত হচ্ছে ডাকাতি, ছিনতাই, জমিদখল, হামলা ও মিথ্যা মামলা। নতুন করে যোগ হয়েছে ইয়াবা ব্যাবস্যায়ীদের রামরাজত্ব। এসবের বিরুদ্ধে র্যালি, সভা সমাবেশ করেও কোনভাবেই থামাতে পারছেনা প্রশাসন,সামাজিক এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও সংগঠন। অপরাধ চলছেই চলছে। ১৯৮৬ সালে সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলাম রনি এলাকায় চুরী, ডাকাতি ও অপরাধ প্রবনতা রোধে সাচার বাজারে অস্থায়ী ফাঁড়ি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের ব্যাবস্থা করেন। দীর্ঘ ২৯ বছরে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তিই সাচার বাজার ফাঁড়ি পুলিশ ক্যাম্পটি স্থায়ী করার উদ্যোগ নেয়নি। ক্যাম্পে যে পরিমান পুলিশ থাকে তাতে এ বিশাল এলাকায় চুরী, ডাকাতি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে অপ্রতুল। যার ফলে প্রতিনিয়তই সাচার-গৌরীপুর, সাচার-কচুয়া সড়কসহ এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ডাকাতি সংগঠিত হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, চাঁদপুরের বর্তমান পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার সাচার পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শন করে পুলিশের মানবেতর জীবনযাত্রা দেখে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, অচিরেই সাচার ফাঁড়ি পুলিশ ক্যাম্পকে একটি আধূনিক পুলিশ ফাঁড়ি ক্যাম্পে রুপান্তরিত করবেন এসময় তিনি আরো বলে ছিলেন ক্যাম্পে যে পরিমান পুলিশ মোতায়েন রয়েছে তা অপ্রতুল তিনি ক্যাম্পে পুলিশ বৃদ্দিরও আস্বাস দিয়েছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের নিকট। এলাকাবাসীর দাবী সাচার ফাঁড়ি পুলিশ ক্যাম্প স্থায়ী করন ও পর্যাপ্ত পরিমানে পুলিশ মোতায়েন করা হলে মাদক প্রবনতা, ডাকাতি ও অপরাধ প্রবনতা কমে যাবে।