প্রতিনিধি
কচুয়ায় ৩ সন্তানের জনক ও দারাশাহী তুলপাই উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বায়োলজী) বিএসসি মাসুদ সরকারের হাতে বাল্যবিয়ের শিকার হলেন একই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী পান্না আক্তার। তার রোল নং-০১। বিয়ের পর শিক্ষক নামের কলঙ্ক মাসুদ এখন পলাতক। স্কুল ছাত্রী পান্নাও লজ্জায় স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। মাসুদের গ্রামের বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার লাকশিবপুর গ্রামে। তার বাবার নাম শাহাজান সরকার। তার ৩টি ফুটফুটে ছেলে সন্তান রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিয়ে পাগল স্কুল শিক্ষক মাসুদ সরকার ২০১১ সালের ১জুন কচুয়া উপজেলার দারাশাহী তুলপাই উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (বায়োলজী) বিএসসি হিসেবে যোগদান করেন।
স্কুলে যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে ছাত্রী হয়রানি, স্কুলে এসে প্রকাশ্য স্কুল ছাত্রীদের (মেয়েদের) সাথে হাঁসি ঠাট্টায় মগ্ন থাকাসহ নানান অভিযোগ রয়েছে। পরীক্ষা, স্কুল চলাকালীনসহ সারাক্ষণ মোবাইল ফোন দিয়ে আলাপে ব্যস্ত থাকত অভিযুক্ত ওই শিক্ষক মাসুদ সরকার। এ নিয়ে স্কুল কমিটি ও প্রধান শিক্ষক তাকে বহুবার সতর্ক করে ও কোন প্রতিকার হয়নি। কাউকেই তোয়াক্কা না করে তার কাজ চালিয়ে যেত বলে একাধিক লোকজন জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, দারাশাহী তুলপাই উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদ সরকার একই গ্রামে লজিং থাকত। সে সুবাদে পার্শ্ববর্তী ছোট কুমার বাড়ির দরিদ্র ওমান প্রবাসী খলিলুর রহমানের মেয়ে স্কুল ছাত্রী পান্না আক্তারকে তার বাড়িতে এসে প্রাইভেট পড়ানোর নামে কোমলমতী স্কুল ছাত্রী পান্নাকে ফুসলিয়ে প্রেমের জালে জড়িয়ে ফেলে। পান্নাকে প্রাইভেট পড়ানোর নামে তার ঘরে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটাত এবং সময় অসময়ে এসে আড্ডা দিতো।
পান্না আক্তারের মা আয়েশা বেগম জানান, জামাইর (শিক্ষক মাসুদ) ইচ্ছায় তার এক আত্মীয়ের বাড়ি মতলবের নারায়ণপুর গিয়ে আমার মেয়ের সাথে বিয়ে হয়। বিয়েতে কত টাকা কাবিন, কে উকিল দিয়েছে, কারা বিয়ের সময় উপস্থিত ছিল বা স্বাক্ষী ছিল তা কিছুই বলতে পারেনি সে। তবে মাসুদ সরকার জানিয়েছে তার ১ম স্ত্রী’র ৩টি ছেলে আছে ঐ স্ত্রীকে ইতিপূর্বে তালাক (ডিবোর্স) দেয়া হয়েছে। পূনরায় স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের কথা শিকার করে বলেন, বিয়েতে ৪ লাখ টাকার কাবিন রেজিষ্ট্রি হয়েছে। কাজীর নাম জানতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, পান্নাকে বিয়ে করেছি এটাই সত্য।
এদিকে মতলব দক্ষিণ উপজেলায় লাকশিবপুর গ্রামে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু লোকজন জানায়, মাসুদ সরকার বেশ ক’বছর পূর্বে একই গ্রামে পছন্দ করে তার প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে কচুয়ায় স্কুলে চাকুরি হওয়ার পর মাসুদ তার প্রথম স্ত্রীর সাথে ভালো ব্যবহার না করে তার সাথে প্রায় সময় খারাপ আচরণ করত বলে তারা জানায়। স্কুল ছাত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমের জড়িয়ে পড়ায় হয়তোবা প্রথম স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরণ করে তাকে ডিবোর্স দেয় বলে এলাকাবাসী ধারণা করছে।
অপরদিকে বিয়ে পাগল মাসুদ সরকার’র এহেন কর্মকাণ্ডে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তারা মাসুদ সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। –
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।