কচুয়া প্রতিনিধিঃ
বৃহস্পতিবার কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহসান উল্ল্যা চৌধুরী এক হয়রানি মুলক মামলার তদন্ত সম্পন্ন করেছেন। সরজমিন জানা যায়, উপজেলার ৭নং দক্ষিন কচুয়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের তালুকদার বাড়ির মহিব উল্ল্যা তালুকদারের পুত্র আবু সাঈদ তালুকদার, তার কচুয়া বাজারস্থ তালুকদার ফার্মেসীতে ১৫ জুন ২০১৫ইং তারিখের সকাল প্রায় ১০ টার দিকে প্রতিপক্ষ একই গ্রাম বাড়ির শামছুল হুদা গং পুর্ব শক্রুতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে দোকানের সামনে এসে আক্রমন করতে উদ্যত্ত হয়ে হুমকি ভয়-ভীতি প্রদর্শন করার অজুহাতে আবু সাঈদ চাঁদপুর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। যাহার দরখাস্ত নং-৩৬৪/২০১৫। মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহসান উল্ল্যা চৌধুরীকে দায়িত্ব প্রদান করেন। আহসান উল্ল্যা চৌধুরী ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য ২৩ নভেম্বর একটি স্বাক্ষরিত পত্রে ওই দিন সকাল ১১টার সময় কচুয়া থানার সামনে অবস্থিত ওই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বাদী বিবাদী গন স্বাক্ষীদের নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ প্রদান করেন। বিবাদী শামছূল হুদা গং যথাক্রমে হাজির হলেও বাদী ও তার স্বাক্ষীদের নিয়ে হাজির হয়নি। এমনি কি তার কোন প্রতিনিধি পাঠিয়ে সময় চাওয়া হয়নি। বিবাদী শামছুল হুদা বাদী পক্ষদের ওই মামলা সহ তার উপর বহু অন্যায় জুলুম নির্যাতন ঘটনার বর্ননা দেয়। এসময় বিবাদী পক্ষের স্বাক্ষী কচুয়া বাজারের প্রবীন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বর্তমান বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা এডক কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সহিদ বিএসসি, সাধারন সম্পাদক ফনী ভূষন তাপু সহ উল্লেখ জনক ব্যবসায়ী তদন্ত অফিসারকে জানান, মামলার ওই তারিখ সময়ে তালুকদার ফার্মেসীতে কোন ঘটনা ঘটেনি। এমনকি দোকানের সামনে গিয়েও কেউ হুমকি প্রদর্শন করতে দেখেনি এবং শুনেনি। তদন্ত অফিসার তাদের এসব বক্তব্য শুনে সকলের স্বাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করেন। এছাড়াও তদন্ত অফিসার তালুকদার ফার্মেসীর আশ-পাশের ব্যবসায়ীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও ঘটনার কোন প্রমান পায়নি। ভুক্তভোগী শামছুল হুদা জানান, আমাকে ওই উল্লেখিত মামলা দায়েরের পরেরদিন ১৬ জুন কচুয়া থানার পুলিশ ঢাকার একটি ভূয়া ওয়ারেন্ট মামলায় আমাকে গ্রেফতার করার পর ৯ দিন জেল খেটেছি। পরবর্তীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের শরনাপন্ন হলে দু’মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ওই ওয়ারেন্ট মামলার বাদীর কোন হদিস না পাওয়ায় আদালত বেকুসুর খালাস প্রদান করেন। তিনি আরও জানান, বাদী পক্ষ আমার পরিবারের সদস্য হলেও পরিচয় দিতে ঘৃনা হয়। তাদের সাথে প্রায় ৫ বছর পুর্বে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ-বাটয়ারা হয়ে গেলেও অহেতুক আমাকে হয়রানি সহ আর্থিক ক্ষতিসাধিত ও মানসম্মান ক্ষুন্ন করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তদন্ত অফিসার আহসান উল্ল্যা চৌধুরী জানান, বিবাদী ও তার পক্ষের স্বাক্ষী সহ সরজমিন তদন্তে ঘটনার কোন সত্যতা পাওয়া যায় নি। আর বাদী পক্ষ নোটিশ পেয়েও তদন্ত কার্যক্রমে উপস্থিত হয়নি এবং তার কোন প্রতিনিধি পাঠিয়ে মৌখিক বা লিখিত কোন সময় চায়নি। আমি সরজমিন তদন্তে যা পেয়েছি, এর প্রতিবেদন আদালতে পাঠিয়ে দেব। শামছুল হুদা এই হয়রানি মূলক মামলার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার পাবার প্রার্থনা জানিয়েছে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।