প্রতিনিধি
কচুয়া উপজেলার রামপুর গ্রামের আরিফ হোসেনের স্ত্রী জেসমিন আক্তারের (১৮) নিখোঁজ হওয়ার ২৫ দিন পরও সন্ধ্যান মিলেনি। জেসমিন আক্তার আদৌ বেঁচে আছে কিনা এ প্রশ্ন এখন ‘টক অব দ্যা কচুয়া’য় পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার বুধুন্ডা গ্রামের মনু মিয়ার কন্যা জেসমিন আক্তার ও একই উপজেলার রামপুর গ্রামের শাহ্ আলমের পুত্র আরিফ হোসেন প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ২০১২ সালের ২৯ আগষ্ট কোর্টে এভিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু আরিফের পিতা-মাতা এ বিবাহকে সহজভাবে মেনে নেয়নি। এ বিয়েকে কেন্দ্র করে আরিফ ও জেসমিনের পরিবারের মধ্যে চরম তিক্ততা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে স্বামী গৃহে জেসমিন আক্তার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয় বলে জেসমিনের পরিবার দাবি করে।
এদিকে গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় গৃহবঁধূ জেসমিন আক্তার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার ২ঘন্টা পর রহস্যজনকভাবে শ্বশুর শাহআলম রাত ১০ টার দিকে পুত্রবঁধূ জেসমিন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কচুয়া থানায় একটি জিডি করে। যার নং- ৬৫৩।
জেসমিনের পিতৃপক্ষ দাবি করছে, তার শ্বশুর পক্ষের লোকজনরা তাকে নির্যাতন করে হত্যা উদ্দেশ্যে গুম করেছে। তবে জেসমিনের শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, জেসমিন আক্তার বেপরোয়া চলাফেরা করতো।
এদিকে গৃহবঁধূ জেসমিন আক্তারের নিখোঁজ নিয়ে উভয়পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করায় কচুয়া থানার ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদার সপ্তাহ পূর্বে উভয় পক্ষকে কচুয়া থানায় ডেকে এনে ৪ আগস্ট দুপুরের মধ্যে জেসমিনের সন্ধান দেয়ার জন্য উভয় পক্ষকে সময় বেঁধে দেয়। কিন্তু গতকাল সোমবার সে সময় অতিবাহিত হলেও গৃহবঁধূ জেসমিন আক্তারের নিখোঁজ রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। এ অবস্থায় জেসমিন আক্তার জীবিত আছে কিনা এ প্রশ্নটি এখন ‘টক অব দ্যা কচুয়া’য় পরিণত হয়েছে।
শিরোনাম:
বুধবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।