রিফাত কান্তি সেনঃ-কথা দিয়েছিলেন বিজয় দিবসে ই চালিয়ে দেখাবেন উড়োজাহাজটি।
কথা রাখলেন ও তিনি।তার নব – নির্মিত উড়োজাহাজটি চালিয়ে, তিনি জানান দিলেন সম্ভাবনা তার দুয়ারে করা নাড়ছে।সম্ভাবনা জেনো মুরাদের ঘরের দ্বারপ্রান্তে।১৬ ডিসেম্বর বুধবার সকালে মুরাদ ফরিদগঞ্জ উপজেলার সামনের পুকুরে উড়োজাহাজটির প্রদর্শন করে।দেখতে হুবাহু উড়োজাহাজ।বাহারী রং এর খেলায় জেনো মিশ্রিত কোন রংধনু।মনের মাধুরী মিশিয়ে, হৃদয়ের গভীরের সমস্ত ভালবাসা দিয়ে নির্মিত মুরাদের উড়োজাহাজ।দেখলে মনে হবে জেনো কোন সুণিপুন কারিগড় এটি তৈরি করেছে।সবই জেনো স্বপ্ন মুরাদের কাছে,কিন্তু প্রতিভা তাকে বহুদূর এগিয়ে নিতে প্রত্যেয় ব্যাক্ত।
আজব হলে ও সত্য! দেখতে উড়োজাহাজের মত হলে ও এটা আকাশে নয়, চলে পানিতে।যথাযত সরঞ্জাম না থাকার কারনে এটি আকাশে উড়ানো সম্ভব নয়।তবে এটি চালু করলে বিমানের মত ই আওয়াজ হয়।
মুরাদের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৬ নম্বর রূপসা ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে। বাবা নজরুল ইসলাম রিকশাচালক। মা জাহানারা বেগম বাকপ্রতিবন্ধী। চার ভাইবোনের মধ্যে মুরাদ বড়।নূন আনতে পান্তা ফুরায় তার পরিবারের।নিজে বিদ্যুত সরঞ্জামের একটি দোকানে কাজ করেন।ছোট বেলা থেকে খেয়ালীপনা তার মন।
উদ্ভাবনী চিন্তা তাকে প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়াতো।শখের বসে ই সে কখনো নৌকা,কখনো হেলিকাপ্টার,কখনো গাড়ী বানানোর চেস্টায় লিপ্ত থাকতো।তার এলাকার সকলেই তার প্রতিভার জন্য গৌরবে পঞ্চমুখ।
তার এই উড়োজাহাজটি তৈরি করতে পনের হাজার টাকার উপরে খরচ হয়েছে।অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখা করার সুযোগ হয়েছিলো মুরাদের।এর পর দারিদ্রতা তাকে আর পড়ার সুযোগ দেয় নি।কিন্তু দারিদ্রতা তার সৃজনশীলতাকে বন্ধ করতে পারে নি।ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মুরাদ একের পর এক চমকপ্রদ জিনিস তৈরি করতে লাগলো।তার বাবা নজরুল ইসলাম বলেন—- সরকারের সহযোগিতা পেলে মুরাদ অনেক বড় কিছু করতে পারবে।মুরাদ গরীবের সন্তান! কিন্তু মেধাবী।আজ সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ পুকুরে মুরাদ এটি চালিয়ে দেখায়।মুরাদের এই উড়োজাহাজ দেখতে বিভিন্ন যায়গা থেকে লোকজন এসে ভিড় জমায়।তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফরিদগঞ্জবাসী ও।বেশ কটি গনমাধ্যম গুরুত্বের সাথে প্রচার করেছে তার এই সৃজনশীলতার চিত্র।