ডাঃ বশির মোহাম্মদ ইলিয়াস / প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
Uterine bleeding :- কবি-সাহিত্যিকরা যেমন নারীর মন বুঝতে পারেন না ; তেমনি এলোপ্যাথিক ডাক্তাররাও (নারীদের প্রধান অঙ্গ) জরায়ুর মতিগতি বুঝতে পারেন না। শেষে ব্যর্থ হয়ে কবি-সাহিত্যিকরা ঘোষণা করেন “নারী ছলনাময়ী” এবং এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা ঘোষণা করেন “বেয়াদব জরায়ুটাকে কেটে ফেলে দাও” (hysterectomy)। সে যাক, জরায়ুর (uterus) যত রোগ আছে, ক্যানসারের পরে তাদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্তি রক্ত ক্ষরণই (metrorrhagia, menorrhagia) বলা যায় সবচেয়ে বিপ্জ্জনক রোগ। অবশ্য জরায়ুর প্রধান কাজই হলো মাসে মাসে, সময়ে অসময়ে, কারণে অকারণে রক্ত ক্ষরণ করা। কিন্তু যখনই এই রক্তক্ষরণের পরিমাণ আশংকাজনকভাবে বেড়ে যায়, তখন রোগী, রোগীর আত্মীয়-স্বজন, ডাক্তার-নার্স সকলেই একটা অজানা আশংকায় শংকিত হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা নানা রকমের ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ইনজেকশান দিতে থাকেন, ব্যাগের পর ব্যাগ রক্ত দিতে থাকেন। তারপরও যখন রক্তক্ষরণ বন্ধ না হয়, তখন তাদের শেষ চিকিৎসা হলো জুরায়ু কেটে ফেলে দেওয়া।
কিন্তু জরায়ু কেটে ফেলে দেওয়াতে আপনি অনেক জটিল সমস্যায় পড়বেন। যেমন – রক্তচাপ বেড়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া, শরীরে জ্বালা-পোড়া বৃদ্ধি পাওয়া, হাড় পাতলা হয়ে সহজে ভেঙ্গে যাওয়া, স্তন ক্যানসার ইত্যাদি ইত্যাদি। সে যাক, আমেরিকান হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানী জে. টি. কেন্ট -এর মতে, মাত্র ৪ টি হোমিও ঔষধের মাধ্যমে এমন কোন জরায়ু রক্তক্ষরণ নাই যা সারানো যায় না। হ্যাঁ, শুধুমাত্র ঔষধের মাধ্যমেই, কোন প্রকার যন্ত্রপাতির ব্যবহার বা অপারেশান ছাড়াই। ঔষধ ৪ টি হলো Ipecac, Aconitum napellus, Phosphorus এবং Secale cornutum. যদি লক্ষণ মিলিয়ে এই ঔষধগুলি ব্যবহার করতে পারেন, তবে রক্তক্ষরণ এত তাড়াতাড়ি বন্ধ হবে যে, আপনার বিশ্বাস করতেই কষ্ট হবে যে, রক্তক্ষরণ ঔষধে বন্ধ হলো নাকি এমনি এমনিই বন্ধ হয়েছে।
Ipecac : যখন জরায়ু থেকে বিরতিহীনভাবে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত ঝরছে, কিন্তু কিছুক্ষণ পরপরই রক্তের স্রোত / প্রবাহ বেড়ে যায়, উজ্জ্বল লাল রক্তের দমকা একটু বেড়ে গেলেই রোগীর মনে হয় সে অজ্ঞান হয়ে যাবে, তার দম নিতে কষ্ট হয়, যতটা রক্তক্ষরণ হয়েছে সেই তুলনায় রোগীর ক্লান্তি / দুরবলতা / অবসন্নতা / বমিবমি ভাব / বেহুঁশ হওয়া / মুখ ফ্যাকাসে হওয়া ইত্যাদিকে অনেক বেশী মনে হয়, এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে ইপিকাক হয় উপযুক্ত ঔষধ।
Aconitum napellus : উজ্জ্বল লাল রক্তের স্রোত / প্রবাহ / দমকার সাথে থাকে অতিরিক্ত মৃত্যু ভয়, (রোগী মনে করে এখনই সে নিঘার্ত মরে যাবে) তবে একোনাইট হলো এই ধরনের রোগীর উপযুক্ত ঔষধ।
Phosphorus : রোগীর যদি গর্ভবতী কালীন সময়ে বা প্রসব পরবর্তী সময়ে মাথা গরম থাকে, বরফের মতো ঠান্ডা পানি খাওয়ার জন্য পাগল থাকে, প্রসব এবং গর্ভফুল (placenta) নির্গমণ সব কিছু ঠিকঠাক মতো হয়ে থাকে, এবং আপনি বুঝতে পারছেন না কি কারণে এতো বেশী বেশী রক্তপাত হচ্ছে, তবে ফসফরাস হলো তার একমাত্র ঔষধ।
Secale cornutum : রোগী যদি হয় পাতলা, চিকন, শীর্ণ অর্থাৎ ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী, যে সারাবছরই গরমে কষ্ট পায় (অর্থাৎ গরম সহ্য করতে পারে না), শরীর থেকে কাপড়-চোপড় খুলে ফেলতে চায় এবং ঠান্ডা হতে চায়, যার ঘনঘন জুরায়ু থেকে রক্তক্ষরণের অভ্যাস আছে এবং বর্তমানে তার রক্তক্ষরণের মাত্রা বিপদজনকভাবে বেড়ে গেছে, হতে পারে তা চাকা চাকা অথবা কালচে পাতলা রক্ত, সিকেলি ছাড়া তাকে সুস্থ করার কোন উপায় নাই।
Uterine bleeding (জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণ) :– কবি-সাহিত্যিকরা যেমন নারীর মন বুঝতে পারেন না ; তেমনি এলোপ্যাথিক ডাক্তাররাও (নারীদের প্রধান অঙ্গ) জরায়ুর মতিগতি বুঝতে পারেন না। শেষে ব্যর্থ হয়ে কবি-সাহিত্যিকরা ঘোষণা করেন “নারী ছলনাময়ী” এবং এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা ঘোষণা করেন “বেয়াদব জরায়ুটাকে কেটে ফেলে দাও” (hysterectomy)। সে যাক, জরায়ুর (uterus) যত রোগ আছে, ক্যানসারের পরে তাদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্তি রক্ত ক্ষরণই (metrorrhagia, menorrhagia) বলা যায় সবচেয়ে বিপ্জ্জনক রোগ। অবশ্য জরায়ুর প্রধান কাজই হলো মাসে মাসে, সময়ে অসময়ে, কারণে অকারণে রক্ত ক্ষরণ করা। কিন্তু যখনই এই রক্তক্ষরণের পরিমাণ আশংকাজনকভাবে বেড়ে যায়, তখন রোগী, রোগীর আত্মীয়-স্বজন, ডাক্তার-নার্স সকলেই একটা অজানা আশংকায় শংকিত হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা নানা রকমের ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ইনজেকশান দিতে থাকেন, ব্যাগের পর ব্যাগ রক্ত দিতে থাকেন। তারপরও যখন রক্তক্ষরণ বন্ধ না হয়, তখন তাদের শেষ চিকিৎসা হলো জুরায়ু কেটে ফেলে দেওয়া।
কিন্তু জরায়ু কেটে ফেলে দেওয়াতে আপনি অনেক জটিল সমস্যায় পড়বেন। যেমন – রক্তচাপ বেড়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া, শরীরে জ্বালা-পোড়া বৃদ্ধি পাওয়া, হাড় পাতলা হয়ে সহজে ভেঙ্গে যাওয়া, স্তন ক্যানসার ইত্যাদি ইত্যাদি। সে যাক, আমেরিকান হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানী জে. টি. কেন্ট -এর মতে, মাত্র ৪ টি হোমিও ঔষধের মাধ্যমে এমন কোন জরায়ু রক্তক্ষরণ নাই যা সারানো যায় না। হ্যাঁ, শুধুমাত্র ঔষধের মাধ্যমেই, কোন প্রকার যন্ত্রপাতির ব্যবহার বা অপারেশান ছাড়াই। ঔষধ ৪ টি হলো Ipecac, Aconitum napellus, Phosphorus এবং Secale cornutum. যদি লক্ষণ মিলিয়ে এই ঔষধগুলি ব্যবহার করতে পারেন, তবে রক্তক্ষরণ এত তাড়াতাড়ি বন্ধ হবে যে, আপনার বিশ্বাস করতেই কষ্ট হবে যে, রক্তক্ষরণ ঔষধে বন্ধ হলো নাকি এমনি এমনিই বন্ধ হয়েছে।
Ipecac : যখন জরায়ু থেকে বিরতিহীনভাবে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত ঝরছে, কিন্তু কিছুক্ষণ পরপরই রক্তের স্রোত / প্রবাহ বেড়ে যায়, উজ্জ্বল লাল রক্তের দমকা একটু বেড়ে গেলেই রোগীর মনে হয় সে অজ্ঞান হয়ে যাবে, তার দম নিতে কষ্ট হয়, যতটা রক্তক্ষরণ হয়েছে সেই তুলনায় রোগীর ক্লান্তি / দুরবলতা / অবসন্নতা / বমিবমি ভাব / বেহুঁশ হওয়া / মুখ ফ্যাকাসে হওয়া ইত্যাদিকে অনেক বেশী মনে হয়, এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে ইপিকাক হয় উপযুক্ত ঔষধ।
Aconitum napellus : উজ্জ্বল লাল রক্তের স্রোত / প্রবাহ / দমকার সাথে থাকে অতিরিক্ত মৃত্যু ভয়, (রোগী মনে করে এখনই সে নিঘার্ত মরে যাবে) তবে একোনাইট হলো এই ধরনের রোগীর উপযুক্ত ঔষধ।
Phosphorus : রোগীর যদি গর্ভবতী কালীন সময়ে বা প্রসব পরবর্তী সময়ে মাথা গরম থাকে, বরফের মতো ঠান্ডা পানি খাওয়ার জন্য পাগল থাকে, প্রসব এবং গর্ভফুল (placenta) নির্গমণ সব কিছু ঠিকঠাক মতো হয়ে থাকে, এবং আপনি বুঝতে পারছেন না কি কারণে এতো বেশী বেশী রক্তপাত হচ্ছে, তবে ফসফরাস হলো তার একমাত্র ঔষধ।
Secale cornutum : রোগী যদি হয় পাতলা, চিকন, শীর্ণ অর্থাৎ ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী, যে সারাবছরই গরমে কষ্ট পায় (অর্থাৎ গরম সহ্য করতে পারে না), শরীর থেকে কাপড়-চোপড় খুলে ফেলতে চায় এবং ঠান্ডা হতে চায়, যার ঘনঘন জুরায়ু থেকে রক্তক্ষরণের অভ্যাস আছে এবং বর্তমানে তার রক্তক্ষরণের মাত্রা বিপদজনকভাবে বেড়ে গেছে, হতে পারে তা চাকা চাকা অথবা কালচে পাতলা রক্ত, সিকেলি ছাড়া তাকে সুস্থ করার কোন উপায় নাই।
=================================
প্রভাষক ডা. এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
★ 01711-943435
★ 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ইমেইল- dr.zaman.polash@gmail.com
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com