মেঘনা নদীতে গতকাল রবিবার রাতে দুই লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পিরোজপুর থেকে এমভি ফারহান-৯ লঞ্চসহ এর দুই কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার হুলারহাট লঞ্চঘাটে পৌঁছার পর ফারহান-৯ লঞ্চ এবং এর মাস্টার আব্দুল হামিদ ও সুকানি খন্দকার আফতাব আলীকে আটক করেছে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ।
আটককৃত হামিদের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দীপ উপজেলায় এবং আফতাবের বাড়ি ঢাকার উত্তর বাড্ডায়। বিআইডব্লিইটিএ থেকে সহযোগীতা চাওয়ার পর তাদেরকে আটক করে পুলিশ।
গতকাল রবিবার রাত দেড়টার দিকে মেঘনার মাঝেরচর এলাকায় কীর্তনখোলা-১০ ও ফারহান-৯ লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এতে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের এক নারী এবং এক শিশু যাত্রী নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, এ ঘটনায় বিআইডব্লিইটিএ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
দুর্ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফারহান লঞ্চটির কোনো রাডার না থাকায় ঘন কুয়াশার মধ্যে কীর্তনখোলা লঞ্চটির মাঝ বরাবর সজোরে ধাক্কা দেয়।