চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের সাপদী গ্রামে কলেজ ছাত্রী গৃহবধু রহিমা আক্তার (১৯ কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে রাতের আধাঁরে গভীর জঙ্গলে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে পালিয়ে যায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এই হত্যার অভিযোগে গত রবিবারে নিহত রহিমার বাবা বাদি হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কলেজ ছাত্রী গৃহবধু রহিমা আক্তার (১৯ কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করার প্রতিবাদে ও হত্যাকারি স্বামী আনোয়ার হোসেনের বিচারের দাবিতে শত-শত এলাকাবাসি সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাকির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা হত্যাকারি আনোয়ারের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা বলেন, হত্যাকারি আনোয়ারসহ মামলা আসামি সকলকে অভিলম্ভে গ্রেফতার করে তাদের ফাঁসির দাবি করেন এবং হত্যা যেন দলীয় প্রভাবে অন্যখাতে প্রবাহিত না হয় তার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। ্একটি কুচক্রি মহল আসামিদের পক্ষ নিয়ে অথের বিনিময়ে মামলাটি হত্যার বদলে আতœহত্যা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব কুচক্রি মহল কোন প্রকার চক্রান্ত না করার জন্য এলাকাবাসি তাদেরকে হুশিয়ার করে দেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ওই গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ীর পাশের একটি বাগানের ছোট গাছ থেকে কলেজ ছাত্রী গৃহবধু রহিমা আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করে। রহিমা আক্তার পাশ্ববর্তী বাগাদী ইউনিয়নের বড় শেখ বাড়ির আঃ হাই শেখের মেয়ে। সে ফরাক্কাবাদ ডিগ্রী কলেজের এইছ এস সি ২য় বর্ষের ছাত্রী। দেড় বছর আগে বালিয়া সাপদী গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ীর জলিল পাটওয়ারীর ছেলে আনোয়ার হোসেন পাটওয়ারীর সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে স্বামী আনোয়ারের পরকিয়া সম্পর্কে কথা জানতে পারলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এছাড়া স্বামীর চাহিদামত যৌতক না দেওয়ায় দুটি ঘটনা নিয়ে রহিমা আক্তারকে শ্বাষরুদ্ধ করে হত্যা করে গছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
শ্বশুর বাড়ি থেকে ৫শ’ গজ দূরে মোজাম্মেল হোসেন পাটওয়ারী বাড়ীর পাশে একটি গাছে ঝুলিন্ত অবস্থায় এলাকাবাসি দেখতে পায়।
চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শামীম সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধুর মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে ওই বাড়ীর লোকজন পলাতক রয়েছে।