নিজস্ব প্রতিবেদক:
ট্রাক্টরের স্বর্গরাজ্য শহরের নিউ ট্রাকরোডের আশা অফিস সংলগ্ন এলাকায় সোমবার সকালে অনেকেরই ঘুম ভে্েঙ্গছে বিকট শব্দে। ওই পথে কানে মোবাইল নিয়ে চালক কথা বলতে বলতে ট্রাক্টরটি নিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের দেয়াল ভেঙ্গে পুকুড়ে পড়ে যায়। এ সময় ট্রাক্টরে থাকা ৫জনের মধ্যে একজন সামনের চাকার নিচে পড়ে পুকুরেই পড়ে থাকে। বিকট শব্দে আশপাশের লোকজন ও পথচারীর এগিয়ে আসে। ট্রাক্টরের মালিক হাফেজ শফিউল্যাহর আরেকটি ট্রাক্টর একই সময় এই পথে বিপরীত দিকে যাচ্ছিল। তারাও এগিয়ে এসে বহুক্ষণ চেষ্টা করে দড়িদিয়ে টেনে ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়া শ্রমিককে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। দূর্ঘটনায় পতিত ট্রাক্টরে থাকা প্রত্যক শ্রমিকই শিশু। স্থানীয়রা জানায় এ পথে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ে ট্রাক্টর চলার কথা থাকলেও সারাদিনেই কমবেশী ট্রাক্টর মালবহন করে। এসব ট্রাক্টরগুলো চলাচলের কোন বৈধতা না থাকলেও অহরহ মালামাল পরিবহন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। মালিক ও ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য বেশীরভাগ চালক ও সাহায্যকারী হিসেবে শিশু ও কিশোর বেছে নেয়। এসব কিশোর চালকদের কোন প্রশিক্ষন ও লাইসেন্স নেই। তাই তারা বেপরোয়াভাবে প্রতিনিয়ত ট্রাক্টর চালিয়ে দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এবং অন্যকেই দূর্ঘটনার সম্মুখীন করছে। গত ১বছর পূর্বেও রাতের বেলায় একটি ট্রাক্টর একই রোডের একটি বাড়ীর দেয়াল ভেঙ্গে বসত বাড়ীতে প্রবেশ করে। স্থানীয় বেশ কয়েকজন চালক জানায়, উল্লেখিত মালিকের দু’টি গাড়ীতেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক দিয়ে দীর্ঘদিন গাড়ী পরিচালনা করে আসছে। এলাকাবাসী ট্রাক্টরের দৌরাত্ব্যে অতিষ্ঠ ও সব সময় আতংকে থাকতে হচ্ছে। বেশীরভাগ শিশুদের চলাফেরাই বেশী আশঙ্কাজনক। এদের নিয়ন্ত্রণ করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।