কচুয়া প্রতিনিধি :চাঁদপুরের কচুয়ার সাচার বাজারে টং দোকানে বসে কুপির আগুনের আলোতে পড়ালেখা ও পান সিগারেট বিক্রি করে সংসারের খরচ চালাচ্ছে উপজেলার সাচার বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী জরিনা। তার বাবা আব্দুল মালেক ২০০৯ সালে শ্বাস জনিত রোগে মারা যায়। ৪ বোনের মধ্যে জরিনা সকলের ছোট। তার গ্রামের বাড়ি কচুয়া উপজেলার ১নং সাচার ইউপির সাচার কান্দির পাড় গ্রামে, পোষ্ট অফিস- সাচার বাজার, তার কোন ব্যাংক একাউন্ট নেই তবে মোবাইল নম্বর ০১৮২৮-৪৯৪১৭০।
জরিনার ৪ বোনের মধ্যে ২বোন বিয়ে দেয়ার পর এক বোন মরিয়ম বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে এখন জরিনার পান সিগারেট ও ঠোংগা বিক্রিই আয়ের সংসার। জরিনার আরেক বোন রাশিদা আক্তার জরিনার মতোই বহু কষ্ট করে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে বতমার্নে ডিগ্রিতে ভর্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
জরিনা চাঁদপুরনিউজ ডটনেটকে জানায়, পড়ালেখা করতে আমার খুব ভাল লাগে, স্কুলের ধার্য্যকৃত বিভিন্ন ফি, বই ক্রয়ের টাকা, খাতা কলম কিনতে আবার আমাদের ৩বোন এবং মায়ের ভরন পোষন পরিচালনায় এক অসহনীয় অবস্থায় আমাদের দিন কাটছে, তারপরও লেখাপড়া ছাড়িনি। সংসারের বিভিন্ন চিন্তা মাথায় আসলে লেখা পড়ায় মন বসেনা, আবার যখন মনে পড়ে লেখা পড়া ছেড়ে দিব তখণ যেন আমার মাথার ওপর পৃথিবী ভেঙ্গে পড়ে, এমনটিই মনে হয়।
জরিনার অভাবের সংসারে সাচার বাজারে রাতে কুপির আগুনের আলোতে বসে পান, সিগারেট বিক্রি করে আবার লেখা পড়াও করে। এভাবে লেখা পড়া করে জরিনা সাচার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ- ৫ পেয়েছে। জরিনা বর্তমানে সাচার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীর একজন মেধাবী ছাত্রী। জরিনা আরো জানায়, সাচার বাজারে বিদ্যুৎ এর বহু সাইট লাইন রয়েছে। আমি গরীব বিধায় আমাকে কেউ বিদ্যুতের সাইট লাইন দেয়নি। আমার দোকানে বিদ্যুৎ থাকলে আরো বেশি বেঁচাকেনা হতো।
মেধাবী ছাত্রী জরিনা ও তার বোনের লেখাপড়ার খরচে কেউ এগিয়ে আসলে আরো ভাল লেখাপড়ায় উন্নীত হবে বলে তার ধীর বিশ্বাস। তার যোগাযোগ ঠিকানা চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ১নং সাচার ইউপির সাচার কান্দির পাড় গ্রামে, পোষ্ট অফিস- সাচার বাজার, তার কোন ব্যাংক একাউন্ট নেই তবে মোবাইল নম্বর ০১৮২৮-৪৯৪১৭০।