আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কামার সম্প্রদায়। কুরবানীর পশু জবাইয়ের অন্যতম অনুসঙ্গ ছুরি, পাতি, দা, বটিসহ বিভিন্ন ধারালো জিনিস তৈরিতে এখন ব্যস্ত এ উপজেলার শতাধিক কামার সম্প্রদায়। এসব ধারালো অস্ত্র চাহিদামতো সরবরাহে কামার শিল্পীরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন।
ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রি ততো বেশি হবে বলে জানান কামার শিল্পীরা। ঈদুল আজহার অন্যতম পশু জবাই করা। আর জবাই করার অন্যতম উপাদান এসব পণ্য। বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কুরবানির সময়টাতে কাজের চাপ অনেক বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় তাদের আয়-রোজগারও। সারা বছর তাদের দুর্দিন থাকলেও এখন অনেকটাই সুদিন। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অভাবে উপজেলায় কমে যাচ্ছে কামার সম্প্রদায়। বাধ্য হয়ে পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করছে অনেকে।
মিরপুর উপজেলার সদরপুর গ্রামের আবদুল্লাহ কামার বলেন, সারা বছর আমাদের মোটামুটি বিক্রি হয়। তবে এই সময় বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। তবে উৎপাদন ও প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় লাভ আগের চেয়ে কম।
স্থানীয় কয়েকজন কামার শিল্পি জানান, কামার শিল্পের অতি প্রয়োজনীয় জ্বালানি হচ্ছে কয়লা। কিন্তু এই কয়লা এখন প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে কয়লা সংগ্রহ করতে হয়। বর্তমানে সেই তুলনায় কয়লার দামও অনেক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লোহার দামও। এদিকে লোহা ও কয়লার দাম বাড়লেও সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। এছাড়া আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব পণ্য তৈরীর বেশ কিছু আবার প্রযুক্তি নির্ভর হাওয়ায় কামার সম্প্রদায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে। এ কারনে অনেকে বাধ্য হয়ে পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।
কামারপট্টি ঘুরে দেখা যায়, পশু কোরবানির নানা উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত কামাররা।
উপজেলার শংকর কুমার কর্মকার বলেন, আমরা দা, বটি, চাপাতি, ছুরিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করে দেশের অনেক স্থানে প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করি। তিনি আরও বলেন, লোহা এবং কয়লার দাম বাড়ার কারণে দা, বটি, চাপাতিসহ অন্যান্য সরঞ্জামের দাম বাড়ানো হয়েছে।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ২৭ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।