সাখাওয়াত হোসেন শামীম :
হাজীগঞ্জের কামাররা ঈদকে সামনে রেখে কাটাচ্ছে তাদের ব্যস্ত সময়। জীবন জীবিকার তাগিদে হাজীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি কামার পরিবার তাদের বাপ দাদার এ পেশা ধরে রেখেছেন অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে। বর্তমানে তাদের এ পেশার আয় দিয়ে পরিবার-পরিজন সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কামার শিল্পদের।
আবার কেউ কেউ উপায়ান্তর না পেয়ে অনেকে কামার পূর্ব পুরুষের পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় ঝুঁকে পড়ছেন। ক্ষুদ্র এই শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত লোহা ও কয়লার দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে তাদের তৈরীকৃত জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলক হারে বৃদ্ধি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা এ শিল্পকর্ম থেকে বিভিন্ন পেশায় আত্মনিয়োগ করছেন। আবার অনেকের পেশা বদলের ইচ্ছা থাকলেও বাড়তি পুঁজি বিনিয়োগ করার সামর্থ না থাকায় এই পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন।
জানাগেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক কামার পরিবারই ভাল নেই। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে এ অঞ্চলের কামার সম্প্রদায় তাদের পৈত্রিক পেশায় টিকিয়ে রাখছেন কোন রকমে। উপজেলার ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নের কয়েকজন কামারের সাথে কথা বললে তারা জানান, আগে অনেক কম দামে পুরনো জাহাজ ষ্টিমারের পাত পাওয়া যেত কিন্তু বর্তমানে তা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। ফলে লোহার জিনিপত্র তৈরী করতে আমাদের চরম হিসসিম খেতে হচ্ছে। রামপুর বাজারের কামাররা জানান, পাথর ও কয়লার দাম বৃদ্ধির কারনে চাহিদা থাকার স্বর্তেও জিনিস পত্র তৈরী করতে পারছি না।
কামার পরিবারগুলোর সাথে আলোচনা করে আরো জানা যায়, তার অধিকাংশই ভূমিহীন। বসবাসের ভিটেমাটি ছাড়া তাদের তেমন কোন জায়গা-জমি নেই। তবে পর্যাপ্ত পুঁজি না থাকা ও কামার শিল্পের উপকরণ সমূহ সঠিকবাবে না পাওয়ায় তাদের এই দূরবস্থার মূল কারণ হিসেবে দেখছেন স্থানীয় কামাররা।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।