শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥
সারা বাংলাদেশের ন্যায় কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে চাঁদপুর শহরে আনাচেকানাচে পানি বন্দি থাাকায় জনগণের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে দাড়িয়েছে। পৌর শহরে প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে হাটু পরিমান পানিতে সড়কগুলি তলিয়ে যাওয়ায় জনগণের চলাচল মারাত্মক ব্যবহত হচ্ছে। আষাঢ় মাস শুরু হওয়ার পর পবিত্র মাযে রমজানের ২ দিন পর থেকেই অঝোর ধারায় প্রবল বর্ষনে পানি বন্দিতে শহরবাসী পরে রয়েছে। শহরের পানি নিস্কাশনের যেসকল ড্রেনগুলো রয়েছে সেগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি থাকায় ঠিক মতো পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা ব্যবহত হচ্ছে। তাই অল্প বৃষ্টিতে চাঁদপুরে শহরের অনেক রাস্তাই হাটু পরিমান পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পবিত্র মাহে রমযানে মুল্লিরা বৃষ্টির কারণে ঠিক মতে মসজিদে নামায পড়তে পারছে না। এছাড়া স্কুল ও কলেজ গামী ছাত্র ছাত্রীরা সময়মতো তাদের গন্তব্যে পৌছাতে না পারায় পড়াশুনায় ব্যঘাত ঘটছে। এছাড়া দিন মজুর ও নি¤œ আয়ের মানুষরা তাদের কাজ-কর্ম বৃষ্টির কারণে না করতে পারায় চরম দুভোর্গে পরেছে। গতকাল শহরে প্রধান প্রধান
সড়কগুলোতে দেখা যায় পুরো চাঁদপুর শহরের আনাচে কানাচে বৃষ্টির পানিতে রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় ড্রেনের ময়লাযুক্ত পানি মানুষের দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়েছে। এতে করে চর্ম ও পানি জনিত রোগে জনসাধারণ আক্রান্ত হয়ে পরেছে। চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায় মৌসুমী বায়ুর প্রবাহের ফলে আরো ৩ থেকে ৪দিন মাঝারি ও ভারী বর্ষন হতে পারে। টানা বর্ষণে ফলে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় জনগণের কিছুটা দুভোর্গ পোহাতে হবে। এদিকে চাঁদপুরে মৎসজীবীরা মৎসচাষীরা তাদের ডোবা-নালা, দীঘিতে পানি তলিয়ে মাছ ভেষে চলে যাচ্ছে। এতে করে লক্ষ লক্ষ টাকা তাদের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া প্রবল বর্ষণের ফলে সকাল থেকে রাত্র পর্যন্ত যুবকরা মাছ ধরার জন্য ঠেডা, ঝাল নিয়ে ছোটাছুটি করছে। বর্ষণের ফলে পুকুর থেকে কই মাছ রাস্তায় উঠে যাওয়ায় সেই গুলো ধরার জন্য ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা পুকুর পাড় ও রাস্তায় ভিড় জমায়। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দোকানিরা লক্ষ লক্ষ টাকার মাল দোকানে উঠালে প্রবল বর্ষনের কারণে ক্রেতাশূণ্য থাকায় তাদের লোকসানের বোঝা ভারি হচ্ছে।
