চাঁদপুর প্রতিনিধি :চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) এম. রফিকুল ইসলামের পিএস খবিরের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের সাথে তার পিতার বাড়ি কলাদীস্থ বাসায় ৪ সেপ্টেম্বর আলাপকালে তিনি জানান, কে বা কারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে আমি জানি না, আমি শুধু চাই হত্যাকারীদের বিচার এই মতলবের মাটিতে হোক। আমি কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত নই, আমার স্বামী যেহেতু এমপি সাহেবের পিএস (ঘনিষ্ঠ লোক) ছিলো, এমপি সাহেবই এই হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার করবেন। এ আশ্বাস তিনি আমাকে ও আমার পরিবারকে দিয়েছেন। তিনি বলেন, খবির যখন কলেজে ছাত্র রাজনীতি করতেন, বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে সময় দিয়েছেন এবং অনেক রাত করে বাড়ি ফিরেছেন, তখন আমি চিন্তা করতাম এবং বলতাম, তুমি সাবধানে থেকো। সাম্প্রতিক সময়ে আমি তার মন খারাপ বা কোনো চিনত্দা করতে দেখলে তাকে বলতাম, কী হয়েছে? তখন খবির বলতো, আমি এমপি সাহেবের পিএস এবং আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় আছে। তুমি চিনত্দা করো না। আমি এমপি মহোদয়ের হয়ে কাজ করছি, আমার কিছু হবে না। আমি তার কথায় আশ্বস্ত হয়েছি এবং কখনো চিন্তা করেনি যে, খবির এমপি সাহেবের পিএস হয়ে মারা যাবে। তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ আমার সাথে দেখা হয়েছিলো ২৪ আগস্ট শুক্রবার। তারপর আর সরাসরি দেখা হয়নি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। খবিরের স্ত্রী বার বার একটি কথাই বলছেন, যারা আমার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার দেখতে চাই। তার ছবি তুলতে গেলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে নিষেধ করে বলেন, আমার স্বামী ছবি হয়েছে, আমার স্বামীর ছবি আপনারা পত্রিকায় দিয়েছেন, এটাই হবে। আমি ও আমার পরিবার আর ছবি হতে চাই না। পিতার মৃতু্যতে শোকার্ত একমাত্র মেয়ে নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। সে কিছুই বলেনি। চোখ দিয়ে শুধু তার পানি গড়িয়ে পড়ছিলো।
খবিরের অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ কী?
চাঁদপুর-২ আসনের এমপি রফিকুল ইসলামের পিএস যুবলীগ নেতা মোঃ খবির হোসেন প্রধানকে অবশেষে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ঢাকার ধানমণ্ডিস্থ গ্রীন লাইফ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করে। তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পোস্টমর্টেম শেষে মহাখালীস্থ আইসিডিডিআরবি’র হিমাগারে রাখা হয়। তার পরিবারে স্ত্রী ও ১ কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩০) মহাখালীস্থ আইসিডিডিআরবিতে কর্মরত এবং তিনি এখন সন্তান সম্ভবা। এই অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ কী এ নিয়ে পরিবারের পাশাপাশি সকলেই উদ্বিগ্ন। একমাত্র মেয়ে ফাহমিদা আক্তার ঊর্মি (১১) ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। নিহত খবিরের পিতার নাম সামছুল হক প্রধান (৮০) এবং মাতা আফিয়া বেগম (৬৫)। ৩ ভাই ৫ বোনের মধ্যে খবির হোসেন ৭ম এবং ভাইয়ের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ।
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ