এদিকে গতকাল সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, লঘুচাপের কারণেও তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং তাপপ্রবাহের এলাকা বাড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ অবস্থা চলবে অন্তত আরো দুই দিন (মঙ্গল ও বুধবার)।

তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরমে নিম্ন আয়ের ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগই বেশি হচ্ছে। তিন দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। এ সময় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা বেড়েছে ৩.৫ ডিগ্রি। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেলগাছি গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ হাফিজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তীব্র রোদের কারণে বাইরে কাজ করা যাচ্ছে না। আমাদের মতো দিনমজুর ও শ্রমিকরাই গরমে কাজ করতে গিয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন।’
দিনাজপুরে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সদর উপজেলার ইজি বাইকচালক আব্দুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গরমে পাকা রাস্তায় টেকা যাচ্ছে না। রাস্তা থেকে গরম এসে চোখেমুখে লাগছে, শরীরে ফোসকা পড়ে যাচ্ছে।’