কচুয়া :
কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর তালুকদার বাড়ির আব্দুল গফুরের ছেলে মামুনের স্ত্রী আমেনা বেগম (২৬)’র মৃত্যু নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
নিহতের পারিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকাল ৯টার দিকে আমেনা বেগমের স্বামী মামুন ও তার পিতা আব্দুল গফুর এবং মামুনের আরেক ভাই রবিউল মিলে আমেনা বেগমকে ব্যাপক মারধর করে। এক পর্যায়ে আমেনা বেগম দৌড়ে বড়বাড়ির মসজিদের সামনে কড়ই বাগানে গিয়ে পড়ে। সেখানেও তাকে প্রহার করা হয়। এ সময় তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হলে মামুন আমেনা বেগমকে প্রথমে শাহরাস্তি হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্মরত ডাক্তার তাকে কুমিল্লা নিয়ে যেতে বলেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অবস্থার উন্নতি না হলে মামুনের পরিবার তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে চিকিৎসাহীন অবস্থায় বুধবার রাত ১১টায় তার মৃত্যু ঘটে। খবর পেয়ে কচুয়া থানা পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার আমেনা বেগমের লাশ থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আমেনা বেগমের খালু জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যে অভিযোগ দায়ের করতে চাইলে থানা পুলিশ হত্যা মামলাটি আমলে নেয়নি বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, আমেনা বেগমের মৃত্যুটি আমাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টে শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি বলে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেয়ে পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরজমিনে গিয়ে আমেনার মামা মিজানুর রহমান ও স্থানীয় লোকজনের কাছে জানা গেছে, আমেনার স্বামী মামুনুর রশিদ একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের কর্মী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে থানা হত্যা মামলা গ্রহণ করেনি এবং এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চায়নি। কিন্তু আশ্রাফপুর গ্রামের লোকজনের মাঝে এ ঘটনায় ব্যাপক চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।