স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচ-ী ইউনিয়নে সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) নামে এক গৃহবধূর উপর শ্বশুর বাড়ির লোকজন কর্তৃক হামলার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় তরপুরচ-ী ইউনিয়নের হাবিবুল্লাহ বেপারী বাড়িতে। এলাকাবাসী আহত গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ৪র্থ তলায় মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ বছর পূর্বে একই এলাকার হাবিবুল্লাহ বেপারীর বড় ছেলে আক্তার বেপারীর সাথে সাবিনার বিবাহের কাবিন রেজিস্ট্রি হয়। সে সময় দু’পরিবারের মধ্যে কথা হয় আক্তার বেপারী বিদেশ করে দেশে এসে সাবিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করবেন। কথামতো সাবিনার পরিবারের লোকজন ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচ করে আক্তারকে দুবাই পাঠায়। ৫ বছর পরে আক্তার বিদেশ থেকে দেশে এসে সাবিনা ইয়াসমিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক মাস পরে আক্তার পুনরায় বিদেশ চলে যান। এরই মধ্যে তাদের সংসারে এক পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। এদিকে বিদেশ যাওয়ার পর থেকে আক্তার বেপারী তার স্ত্রী ও ছেলের কোনো খোঁজখবর এমনকি ভরণ পোষণ না দিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় বলে সাবিনার পরিবারের লোকজন জানান। সাবিনা তার শিশু সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে উঠে।
তারা আরো জানান, আক্তার বেপারী তার ছোট ভাই ইয়াসিন বেপারীর মাধ্যমে বিদেশ থেকে তার বাবা-মার জন্যে টাকা পাঠাতো। আর সে টাকায় ভাই ইয়াসিন বেপারী এলাকায় বিভিন্ন অবৈধ কাজ করতো। বর্তমানে সাবিনার ছেলে নীরবের বয়স ৫ বছর। এদিকে চলতি মাসের ৩ তারিখে আক্তার বেপারী বিদেশ থেকে দেশে ফিরে নিজেদের বাড়িতে উঠেন। তার স্ত্রী ও ছেলের সাথে দেখাতো দূরের কথা এসে যোগাযোগও করেন নি। গতকাল বুধবার আক্তার বেপারী স্ত্রী সাবিনাকে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয় ছেলেকে দেখার অযুহাতে। স্বামীর ডাকে সাড়া দিয়ে সাবিনা শ্বশুর বাড়িতে গেলে স্বামী আক্তার বেপারীর সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দেবর ইয়াসিন বেপারী, দেবরের স্ত্রী শাহিনা বেগম ও শাশুড়ি সাফিয়া বেগম সাবিনাকে বেদম মারধর করে। একপর্যায়ে দেবর ইয়াসিন বেপারী সাবিনার গলায় চাপ দিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। সাবিনার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়।