গ্যাসের অপেক্ষায় সড়ক দখল করে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় সিএনজি স্কুটার ও অন্যান্য যানবাহন। যার ফলে পুরো শহর জুড়ে দেখা দেয় তীব্র যানজট।
গতকাল সকালে চাঁদপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় আমির হোসেন খান এন্ড কোং সিএনজি পাম্পের সামনে সারিবদ্ধভাবে সিএনজি স্কুটারসহ গ্যাস চালিত সকল ধরনের গাড়ি গ্যাস নেয়ার জন্যে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ফলে শহরের প্রবেশ মুখটিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কসহ পাম্প এলাকায় যানজটের মাত্রা বেড়ে যানবাহনে থাকা যাত্রীরা মারাত্মক দুর্ভোগের মাঝে পড়ে। অফিস চলাকালীন যানজট হওয়ায় অফিসগামী লোকজন, ছাত্র-ছাত্রী, শ্রমজীবী ও রোগীসহ সকল শ্রেণীর মানুষ যানজটের কবলে পড়তে হয়। এতে করে তাদেরকে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। আর এ যানজটের প্রভাব গিয়ে পড়ে পুরো শহর এলাকায়। শহরের প্রতিটি সড়কে কম-বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটে পড়ে প্রায় ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
আমির হোসেন খান গ্যাস পাম্পের সামনে নিজস্ব পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার কারণে সড়কের উপরে গ্যাসের জন্যে গাড়িগুলো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এ পাম্পের কারণে তীব্র যানজট ও দুর্ভোগ নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। অফিস, স্কুল, কলেজ সময় সকাল বেলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় যানজটের বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যথা নেই। মনে হচ্ছে গ্যাস পাম্প কর্তৃপক্ষের নিকট সকলে জিম্মি হয়ে রয়েছে। গ্যাস নেয়ার জন্যে গাড়ি রাখার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকলেও যানজট মুক্ত করতে পাম্পের লোকজন গাড়িগুলো সিরিয়ালে রাখার জন্যে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না। যে যেভাবে পারছে সেভাবেই এলোপাতাড়ি গাড়ি নিয়ে পাম্পে প্রবেশের চেষ্টা করে। এতে করে সড়ক দখল হয়ে যায়। আর সড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলো চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে।
গতকাল বেলা পৌনে ১১টায় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের টিআই আব্দুর রহমানকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আর ২ জন ট্রাফিক সড়ক যানজটমুক্ত রাখার চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি। জানা যায়, গত রোববার যে সকল সিএনজি স্কুটার গ্যাস ভর্তি করতে পারেনি ঐ সকল গাড়ি গতকাল গ্যাস নিতে আসলে সকাল হতেই গাড়িগুলো সড়কে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়। এ ব্যাপারে ক�জন সিএনজি স্কুটার চালক জানান, রোববার আমরা গ্যাস নিতে পারিনি। আজ সকালে গ্যাস নেয়ার জন্য চলে আসি। পাম্পের সামনে জায়গা না থাকায় আমরা সড়কের উপরেই গাড়ি রাখি। আর যে যার আগে পারছে গ্যাস নিয়ে যায়। পাম্পের লোকজন কিছু বলছে না। তারাও গাড়িগুলো সিরিয়ালে রাখার জন্যে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এ ব্যাপারে টিআই আব্দুর রহমানের মোবাইলে বারবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।