চাঁদপুর: চাঁদপুরের চরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়ন ইব্রাহীমপুর, রাজরাজেশ্বর ও নীলকমল ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ বসবাস করে। প্রশাসন এসব লোকদের জন্যে চরের সব স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা ঘূর্ণিঝড়ের আগেই নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে।
অথচ চরাঞ্চলের এ অধিকাংশ লোকজন তাদের বসত-ভিটার মায়া ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে না। শুধুমাত্র নীলকমল ইউনিয়নের ২০-৩০টি পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
রাজরাজেশ্বর, নীলকমল ও ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যথাক্রমে আবুল হোসেন, ইয়াছিন সিকদার ও আবুল কাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মুঠোফোনে বলেন, “আমাদের এলাকায় নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্যে একাধিকবার মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু তারা বসতভিটা ছেড়ে যেতে চাচ্ছে না। কেউ কেউ বলছে মহাসেন এদিকে আসবে না। আসলেও আল্লাহ আমাদের রক্ষা করবেন।”
এদিকে খুবই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় তাদের চর থেকে নিয়ে আসতে ৫টি লঞ্চ রিকুইজিশান করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।