ফরিদগঞ্জ : জামাত শিবিরের ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনে চাঁদপরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বর্ডারবাজার এলাকায় শিবির ও পুলিশের সাথে প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী ব্যাপক সংঘর্ষে পুলিশ ও জামাত শিবির কর্মীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে । এর মধ্যে শিবিরের প্রায় ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে । এর মধ্যে নাছির নামে এক শিবির কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে বলে দাবী করেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ফজলুল করিম তার বাড়ি রায়পুরের কেরোয়া গ্রামে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ২৫টি মোটর সাইকেল ও ১৫ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে হরতালকারীরা।
প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ প্রায় তিন শতাধিক সর্টগানের গুলি ছুড়লেও পবর্তীতে শিবির কর্মীদের পিছু হটাতে চাইনিজ রাইফেলের গুলি ছুঁড়ে এতে শিবিরের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয় ।
অন্যদিকে শিবিরের পাল্টা ইট পাটকেলের আঘাতে অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ।
বুধবার দুপুর দেড় টার দিকে লক্ষ্মীপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন ফরিদগঞ্জের বর্ডার এলাকা অতিক্রম করার সময় ছাত্র শিবিরের কর্মীরা তাঁর গাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয় । এ সময় তাকে বহনকারী গাড়িটি ভাংচুরের শিকার হলেও তিনি অক্ষত ছিলেন।
সংঘর্ষ চলাকালে পাল্টা-পাল্টি গুলি ও একের পর এক ককটেল বিষ্ফোরণে ওই এলাকার পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যায় । প্রায় তিন ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষ চলার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসে ।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেত প্রথমে ফরিদগঞ্জের পুলিশ চেষ্টা চালালেও পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রনে বাহিরে চলে যাওয়ার পর চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ যোগ দেয় । সংঘর্ষে মুলত পার্শবত্বী রায়পুর উপজেলার শিবির কর্মীরা ফরিদগঞ্জের বর্ডার বাজার এলাকায় এসে এই তান্ডব চালায় । তবে এমন পরিস্থিতিতেও পুরো সময় জুড়ে রায়পুর থানা পুলিশের উপস্থিতে লক্ষ্য করা যায়নি ।সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে তবে পরিস্থিতি এখনো থমথমে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক চাঁদপুর নিউজকে বলেন,চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে হামলার পর প্রথমে তাঁর সাথে থাকা পুলিশ সদস্য ও ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়া ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয় । পরে তারা আরো সংগঠিত হয়ে প্রায় দুই হাজার শিবির নেতা কর্মী জড়ো হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায় । পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে । তবে পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে আছে ।