চাঁদপুরসহ সারাদেশে অ অবাধে ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। হাইকোর্টের নির্দেশনায় পলিথিন বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ হলেও তা মানছে না পলিথিন ব্যবসায়ীরা।
ডেমরার বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ী ও দোকানীরা অবাধে ব্যবহার করছে এই নিষিদ্ধ পলিথিন। বেশির ভাগ ক্রেতায় বাজারে যান ব্যাগ ছাড়াই। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই পলিথিন রাখতে হয় ডেমরার বিভিন্ন মাছ ও সবজির বাজারগুলোতে। মুদির দোকান থেকে শুরু করে বাজারের আলু-পেঁয়াজ, মাছ-মাংস, ভূষি-কুঁড়া, সবজি এমনকি হার্ডওয়্যারের দোকানসহ প্রায় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ পলিথিনের সয়লাব। ফলে পরিবেশ হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে।
এদিকে পরিবেশ অধিদফতরের দাবি, রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বিক্রয়, প্রদর্শন, মজুত, বিতরণ এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার কমেছে। ডেমরাসহ রাজধানী ও আশপাশের এলাকাগুলোতে অব্যাহতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং প্রচারণার কারণে বাজারগুলোতে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার অনেকটা কমে এসেছে।
পাশাপাশি পলিথিনের ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে আনতে চলছে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজও।
কিন্তু বাস্তবের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। দু’একটি অভিযান হলেও থেমে নেই নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার। আশ্চর্যের বিষয় হলো প্রশাসন জেনেও রহস্যজনক কারণে এসব নিষিদ্ধ পলিথিন বন্ধের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
ডেমরায় সারুলিয়া, রানীমহল, ডগাইর, ডেমরা বাজার, স্টাফ কোয়ার্টার বাজার, বড়ভাঙ্গা, কোনাপাড়া, মাতুয়াইল, শনির আখড়া বামৈলসহ বিভিন্ন বাজারগুলোতে নিষিদ্ধ পলিথিনের ছড়াছড়ি। অবাধে বিক্রি করছে সকল শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। এমনকি ভ্রাম্যমাণ সবজি ও মাছ বিক্রেতারা এবং দেশি মৌসুমি ফল বিক্রেতারাও ব্যবহার করছে এসব পলিথিন। তবে বাজারগুলোর ফলপট্টির দোকানগুলোতে অনেকটাই বন্ধ পলিথিনের ব্যবহার। সম্প্রতি কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায় পলিথিনে করে মাছ ও তরকারি বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
পলিথিন কোথায় পেলেন জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু বাজার ব্যবসায়ী বলেন, ডেমরায় অন্তত ৫/৬ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাইকারী পলিথিন বিক্রি করে। এরা সবসময় পলিথিন আমাদের কাছে পৌঁছে দেয়।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতরের (ঢাকা জেলা) উপ-পরিদর্শক আব্দুল হাই জানান, ডেমরায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের বিষয়টি শুনেছি। আমি নিজেই গোপনে পর্যবেক্ষণ করে তা দেখেছি। ডেমরায় ঈদের আগেই যে কোনো দিন অভিযান চালানো হবে বলেও জানান তিনি।