শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুরে ডায়বেটিক হাসপাতালের সাবেক ডাক্তার মূসার ২য় স্ত্রীর হামলায় ১ম স্ত্রী লাকি বেগম (৩৫) গুরুতর আহত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ষ্টেডিয়াম মাদ্রাসা রোড আবুলের দোকান সংলগ্ন সিরাজ মিয়ার ৬ তলায় ভাড়াটিয়া মূসার এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১ম স্ত্রী ২ সন্তানের জননী লাকি বেগম বাদী হয়ে ২য় স্ত্রী (তার নামও)লাকি বেগমকে আসামি করে চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। গুরুতর আহত অবস্থায় লাকি বেগমকে চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই জমির উদ্দিন উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় হাসপাতালে আসার পরই আহত লাকি বেগম জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। হাসপাতালের কর্তবরত ডাক্তার তাকে চিকিৎসা দিলে তার জ্ঞান ফিরে আসে। তার মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন যায়গায় মারাত্মক জখম হয়।
ঘটনার বিবরনে জানাযায়, ২০০০ সালে নীলফামারি জেলার জলঢাকার ইসমাইল হোসেনের মেয়ে লাকি বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিবাহিত জিবনে তাদের সংসারে তানভির শাহরিয়ার রৌদ্র (১১) ও প্রান্ত শারিযার অরন্য (৭) নামে দুই ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ডায়বেটিক হাসপাতালের সাবেক ডাক্তার মূসা দূর্নিতীর ও নারী গঠিত ঘটনায় তার ঐ হাসপাতাল থেকে চাকুরিচূত্য হয়। পরে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ডাঃ মূসা কক্সবাজার গিয়ে বাসা ভাড়া নেয়। তাদেরকে সেখানে রেখে ডাঃ মূসা পুনরায় চাঁদপুর এসে প্রাইভেট হাসপতাল সহ বিভিন্ন ডায়গনষ্টিক সেন্টারে রোগী দেখা শুরু করে। ২০১৩ সালে নতুন বাজার যমুনা হাসপাতালে রোগী দেখতে গিয়ে ঐ হাসপাতালের কর্মরত আয়া বড় ষ্টেশন রেলওয়ে শ্রমিক কলোনীর আব্দুল রশিদ বেপারির মেয়ে লাকি আক্তার (২৫) আরে সাথে দৈহিক সর্ম্পক গড়ে তুলে। এ ঘটনা জানা জানি হলে অনেকটা চাপের মুখে ২য় বিয়ে করে। ১ম স্ত্রী ঘটনা জানতে পেরে ডাঃ মূসার নামে মামলা করার হুমকি দিলে তার দুই সন্তানকে চাঁদপুরে এনে জিম্মি করে রাখে। দুই সন্তানকে চাঁদপুরে নেওয়ার জন্য আসলে ১ম স্ত্রীর কাছ থেকে জোর পূর্বক ষ্ট্যাম্পে সহ রাখে। সন্তানদের ভবিষৎ এর কথা চিন্তা করে বুক ভরা কষ্ট নিয়ে কক্সবাজারে বসবাস করে। হঠাৎ করে দীর্ঘদিন যাবত ছেলে সন্তান ও স্ত্রীর কোন খোজ খবর না নেওয়ায় আজ সোমবার সকালে স্বামীর খোজে কক্সবাজার থেকে চাঁদপুরে আসে। পরে মাদ্রাসা রোডস্থ সিরাজ মিয়ার বিল্ডিং এর ৬ তলায় ডাঃ মূসার ভাড়াটিয়া বাসায় ১ম স্ত্রী যাওয়ার পরই ২য় স্ত্রী ডাঃ মূসার উপস্থিতিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় লাকি বেগমকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর সে চাঁদপুর মডেল থানায় এসে ২য় স্ত্রীর নামে অভিযোগ দায়ের করে। তখনও তার মাথা দিয়ে রক্ত বেড়তে দেখে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদের নির্দেশে পুলিশ তাকে সদর হাসপাতারে নিয়ে আসে। এদিকে ডাঃ মূসার ১ম স্ত্রীর মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দেওয়ার পর কর্তবরত ডাক্তার তাকে হাসপাতালে ভর্তি থাকার কথা বললেও তাকে ডাক্ভতার মুসার লোকেরা তার ভাশুরের বাসায় নিয়ে যায়। এ ব্যপারে ডাঃ মূসার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করার পর ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে পারিবারিক ব্যপার নিজেরাই সমাধান করবে বলে সংযোগটি কেটে দেয়।
এদিকে ঘটনার পরপরই ২য় স্ত্রী যমুনা হাসপাতালের আয়া বাসা থেকে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য ডাঃ মূসা তার নারী গঠিত অপকর্মের ঘটনায় চাঁদপুরের কোন হাসপাতালে বর্তমানে কর্মরত নেই। শুধুমাত্র ভাসমান ভাবে বিভিন্ন ডায়গনষ্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন।